করোনার বেশকিছু ভ্যারিয়ান্ট ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। এরমধ্যে কয়েকটিকে ভ্যারিয়ান্ট অফ ইন্টারেস্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারধ্যেই ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট ভারতে নিজের জাল বিস্তার করেছে। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিল বিভিন্ন ভ্যারিয়ান্ট নিয়ে গবেষণাকারী সংস্থা INSACOG। তারা জানিয়েছে ভারতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ভ্যারিয়ান্ট হল ডেল্টা। আরও বেশকিছু ভ্যারিয়ান্টের উপস্থিতি রয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে মারাত্মক ডেল্টা।
জানা যাচ্ছে, দেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একে আটকাতে পারে না। আবারা অন্যান্য ভ্যারিয়ান্টের চেয়ে এর ওপরে ভ্যাকসিনের প্রভাবও কম। সেই কারণে হু-এর তরফ থেকেও একে ভ্যারিয়ান্ট অফ কনসার্ন বলা হয়েছে। আর শুধু ভারতই নয়, ব্রিটেন আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশেও নিজের মারণ থাবা বসিয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট।
কমছে আলফার প্রভাব
এদিকে ডেল্টার প্রকোপ চলার মাঝেই আলফা ভ্যারিয়ান্ট নিয়ে মিলেছে স্বস্তির খবর। INSACOG এর তরফে বলা হয়েছে, গোটা বিশ্বেই কমছে আলফা ভ্যারিয়ান্টের প্রভাব। একই ছবি ভারতেও। সবচেয়ে প্রথমে ইংল্যান্ডে এই ভ্যারিয়ান্ট দেখা যায়। তাই প্রথমে এর নাম দেওয়া হয় ইউকে ভ্যারিয়ান্ট। কিন্তু পরে নাম পরিবর্তন করা হয়। এছাড়া বিটা ভ্যারিয়ান্টের ঝুঁকিও ভারতে কম। কিন্তু যেহেতু দেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিটা ভ্যারিয়ান্টকে রুখতে পারে না, তাই কখন এটি ভারতে সক্রিয় হয়ে উঠবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বিটা ভ্যারিয়ান্ট প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া গিয়েছিল। পরে ভারতের প্রতিবেশি দেশগুলিতেও এর উপস্থিতি মেলে।
যেসব ভ্যারিয়ান্ট চিন্তার কারণ
তবে ব্রাজিল ভ্যারিয়ান্ট গামা ভারতে খুব বেশি দেখা যায়নি। হু-এর তরফে এটিকে ভ্যরিয়ান্ট অফ কনসার্ন ঘোষণা করা হলেও, এর থেকে ভারত ঝুঁকি কম। তবে ডেল্টা এখন গোটা বিশ্বে সক্রিয়। কমছে আলফার প্রভাব। এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার নয়া ল্যাম্বডা ভ্যারিয়ান্ট গবেষকদের চিন্তায় রেখেছে। জানা যাচ্ছে দেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এটিকে রুখতে পারে না এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এপ্সিলন ভ্যারিয়ান্ট নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে, তবে এই বিষয়ে অবশ্য এখনও বেশি কিছু জানা যায়নি।