রবিবার দেশে প্রায় ১.৮০ লক্ষ করোনার (Corona) কেস নথিবদ্ধ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে দেশে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের (Omicron) ৪,০৩৩টি কেস পাওয়া গিয়েছে। এর থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায় সেই নিয়ে যখন গবেষণার ব্যস্ত গবেষকরা ঠিক সেই সময় চিহ্নিত হয়েছে ওমিক্রন ও ডেল্টার মিশ্র ভ্যারিয়ান্ট ডেল্টাক্রন।
ভাইরাস থেকে বাঁচতে মানুষকে ভিড় এড়িয়ে চলা এবং হাত পরিস্কার রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জানুয়ারির শেষের দিকে সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছবে। ইউকের প্রথম অফিসিয়াল রিপোর্ট অনুযায়ী, ওমিক্রনে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি ডেল্টার চেয়ে ৫০-৭০ শতাংশ কম। একইসঙ্গে ভ্যাকসিনের বুস্টার জোজও ওমিক্রন থেকে রক্ষা করতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কোন কোন জায়গায় ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। যদি কেউ ওই সমস্ত জায়গায় যান তাহলে তাঁর আক্রান্ত হওয়া এবং তা অন্যের দেহে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি। ওমিক্রন ইউকেতে ডোমিনেন্ট ভ্যরিয়ান্টে পরিণত হওয়ার আগে এই ডেটা নেওয়া হয়েছিল। পরে তার সমীক্ষা করা হয়।
SAGE-এর এই সমীক্ষায় প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষের গতিবিধির ওপরে নজর রাখা হয়। সেখানে দেখা যায়, যাঁরা বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করেন, তাঁদের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এরপর পাব ও রেস্তোরাঁয় যাঁরা যান এবং পাবলিক ভেহিকেল ব্যবহার করেন, তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া খেলার সঙ্গে যুক্ত, সামাজিক কাজকর্ম, ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটির জন্যও ছড়ায় ভাইরাস। সমীক্ষায় আরও জানা গিয়েছে, যাঁরা কাজের জন্য বাইরে বেরোন তাঁদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
SAGE-এর এই সমীক্ষা অনুযায়ী নিম্নলিখিত কাজকর্মের সঙ্গে যুক্তদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
১. বাইরে গিয়ে শপিং করলে ২.১৮ শতাংশ
২. আউটডোর গেমস খেললে ১.৩৬ শতাংশ
৩. রেস্তোরাঁ বা ক্যাফেতে খাওয়া দাওয়া করলে ১.২৯ শতাংশ
৪. পাব, বার বা ক্লাবে গেলে ১.২৮ শতাংশ
৫. পার্টিতে গেলে ১.২৭ শতাংশ
৬. জিম বা ইন্ডোর গেমস খেললে ১.২৭ শতাংশ
৭. কাজের জন্য বাইরে গেলে ১.২ শতাংশ
৮. ট্যাক্সি ব্যবহার করলে ১.১৯ শতাংশ
৯. ট্রেনে যাতায়াত করলে ১.১৮ শতাংশ
১০. সপ্তাহে একবারের বেশি পাবলিক ভেহিকেল ব্যবহার করলে ১.২৮ শতাংশ