আলিপুরদুয়ার জেলায় করোনা আক্রান্ত এক রোগীর দেহে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের সন্ধান পাওয়া গেল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রিপোর্ট অনুযায়ী অন্তত এমনটাই জানা যাচ্ছে। যদিও আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে অবশ্য এই ধরনের কোনও খবর নেই বলেই জানাচ্ছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা।
করোনা চিকিৎসায় উত্তরবঙ্গে বিশেষ দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সুশান্ত ঘোষ জানাচ্ছেন, 'ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট আলাদা কিছু নয়। করোনার ভাইরাসেরই অপর একটি স্ট্রেন। এই শব্দগুলো চিকিৎসার পরিভাষায় ব্যবহার করা হয়। মানুষ যাতে অকারণে ভয় না পান সেই দিকে নজর রাখতে হবে। ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের আলাদা কোনও চিকিৎসা নেই। সাধারণ করোনা ভাইরাসের যা চিকিৎসা তাই করা হবে। তবে মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। সবসময় মাস্ক পড়তে হবে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। করোনার নিয়মবিধি পালন করতে হবে।'
তাহলে কি ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের মাধ্যেমেই উত্তরবঙ্গে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লো? সুশান্ত ঘোষের জবাব, 'একেবারেই তা নয়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যেমন মানুষের মাধ্যেমেই ছড়িয়ে পড়েছিল। সতর্ক না হলে তৃতীয় ঢেউও মানুষের দ্বারাই ছড়িয়ে পড়বে।' উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে করোনা আক্রান্ত ১৪ জন রোগীর দেহে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট এবং ২ জনের দেহে ইউকে স্ট্রেনের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে আরও খবর, ইউকে স্ট্রেনের সন্ধান যাঁদের দেহে পাওয়া গিয়েছে তাঁরা ২ জনেই শিলিগুড়ির বাসিন্দা। আর ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট যাঁদের দেহে পাওয়া গিয়েছে তাঁদের মধ্যে ৪ জন দার্জিলিং-এর, ১ জন কালিম্পং-এর, ২ জন জলপাইগুড়ির ও ১ জন আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের আরও কয়েকটি জায়গায় মিলেছে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্তের সন্ধান।
এদিকে আলিপুরদুয়ার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা জানাচ্ছেন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে যে নমুনা ল্যাবরেটরিতে পাঠান হয়েছিল সেখান থেকে কিছু একটা রিপোর্ট এসেছে। তবে সেই রিপোর্টে আলিপুরদুয়ারের নাম রয়েছে কি না তা জানা নেই। তাঁদের কাছে এই বিষয়ে কোনও খবর নেই বলেই জানাচ্ছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।