করোনার ভয় এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ হবে দূর হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। এখন করোনার এক নতুন এক্সপেরিয়েন্স সামনে এসেছে। যার মধ্যে আক্রান্ত হচ্ছেন বড় থেকে বাচ্চা, সবাই। করোনার ভেরিয়েন্ট এর আক্রমণে শিশুদের সবার আগে একটা লক্ষণ নজরে আসছে। যাতে মা-বাবা ইগনোর করার ভুল করবেন না।
ডায়রিয়া এবং পেটব্যথা
বাচ্চাদের মধ্যে দেখতে পাওয়া সবচেয়ে প্রথম লক্ষণ হলো ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা। এ ছাড়া অন্য লক্ষণ এর মধ্যে জ্বর, গলাব্যথা, শুকনো কাশি, ক্লান্তি, নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য সমস্যা, গলা বসে যাওয়া, ঠান্ডা লাগা, সর্দি এবং বমির মতো লক্ষণ। এ ছাড়া অন্য লক্ষণ যদিও হেলথ এক্সপার্টরা মনে করছেন যে করোনা নতুন এই ভেরিয়েন্টে মা-বাবা ঘাবড়ে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু এ বিষয়ে নিশ্চিন্ত হওয়ার জায়গাও নেই ।চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
কীভাবে করবেন সুরক্ষা?
এক্সপার্টরা জানিয়েছেন মা-বাবার জন্য এটি সুনিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি যে তাদের বাচ্চাদের হেলদি লাইফ স্টাইল বজায় রয়েছে কিনা। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া ঘুম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা বাচ্চাদের টিকাকরণের সঠিক সময়ে সঠিকভাবে করা, যাদের করোনার ভ্যাকসিনের বয়স হয়েছে, তাদের টিকা দিয়ে দেওয়া। এক্সপার্টরা মনে করছেন মা-বাবা এবং টিচার্সরা বাচ্চাদের নিউট্রিশন এর এবং হেলদি লাইফ স্টাইল দেওয়ার বিষয় মাথায় রাখা উচিত। স্কুলের পরিসরেও স্বচ্ছতা এবং হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে।
বাড়তি ভয় পাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই
হেলথ এক্সপার্টরা বলছেন যে, বাচ্চাদের বাবা-মায়েদের করোনার এই ভেরিয়েন্ট নিয়ে ঘাবড়ানোর কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ বাচ্চাদের করোনার লক্ষণ সামান্য এবং ঠিকমতো, সময়মতো চিকিৎসা করালে তা খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যাচ্ছে। ভ্যাকসিনেশনের জন্য যোগ্য বাচ্চাদের ভ্যাকসিনেশন করে দেওয়া উচিত। যাদের ভ্যাক্সিনেশন হয়নি, সমস্ত বাচ্চাদের অন্যান্য ভ্যাকসিন রয়েছে, সেগুলি হিসেবে কাজ করে ছোট বাচ্চাদের তেমনভাবে করোনার আক্রমণে সমস্যা তৈরি হচ্ছে না।
করোনা এবং এর ভ্যারিয়েন্ট থেকে বাঁচার জন্য কিছু নিউট্রেশন টিপস
এমন জিনিস ডায়েটে সামিল করুন যার মধ্যে ভিটামিন সি এর মাত্রা অত্যন্ত বেশি। রেডমিট এর জায়গায় হোয়াইট মিট এর খাবার অভ্যাস করুন। খাওয়ার মাত্রা কম করে লবণ কম খান। সারা দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খাওয়ার চেষ্টা করুন। যাতে আপনার বডি ডিহাইড্রেট না হয়। মাংস, মাখন, নারকেল, তেল, ক্রিম এবং চর্বিযুক্ত খাবার না খেয়ে সেগুলি বাদ দিয়ে মাছ, অ্যাভাকাডো, নাট অয়েল, ক্যানোলা, সূর্যমুখী এবং ভুট্টার তেলের রান্না খাবার চেষ্টা করুন।