দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে করোনার দু’টি প্রতিষেধক— অক্সফোর্ড-AstraZeneca-র তৈরি Covishield এবং ভারত বায়োটক (Bharat Biotech) ও ICMR-এর যৌথ উদ্যোগে তৈরি Covaxin-কে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে দফায় দফায় গণ টিকাকরণ চলছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও করোনা সংক্রমণে নিয়ন্ত্রণ আনা যাচ্ছে না।
টিকা নেওয়ার পরেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, সম্প্রতি এমন ঘটনাও সামনে এসেছে। অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনার প্রতিষেধক Covishield এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আশা জাগিয়েছে। এই টিকার উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India)। ভারতেও প্রয়োগ করা হচ্ছে Covishield। কিন্তু বাস্তবে কতটা সুরক্ষা দিতে সক্ষম এই টিকা?
এ প্রসঙ্গে সংস্থার প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা জানান, দুই থেকে তিন মাসের ব্যবধানে Covishield-এর দুটি ডোজ দিতে পারলে তবেই করোনার বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা মিলবে এই টিকা থেকে। সেরাম কর্তার দাবি, Covishield-এর প্রথম ডোজেই প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ করোনার প্রকোপ থেকে সুরক্ষিত। তবে করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী অনাক্রম্যতা পেতে, বা সুরক্ষার মাত্রা প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে Covishield-এর দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োজনীয়।
সম্প্রতি The Lancet পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সমীক্ষার রিপোর্টে জানানো হয়, করোনার সংক্রমণ রুখতে Covishield ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। এ প্রসঙ্গেসেরাম ইনস্টিটিউটের (Serum Institute of India) প্রধান জানান, আপাতত এক মাসের ব্যবধানে Covishield-এর দুটি ডোজ দেওয়া হচ্ছে। টিকার দুটি ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়ালেই করোনার বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে Covishield! এ ক্ষেত্রে আদর পুনাওয়ালার পরামর্শ হল, ২৮ দিনের পরিবর্তে অন্তত ৬০ দিন থেকে ৯০ দিনের ব্যবধানে Covishield-এর দুটি ডোজ দেওয়া হলে ৭০ শতাংশের পরিবর্তে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা মিলতে পারে।