মুখ্যমন্ত্রী নিজে ভুয়ো! তিনি ভোটে জেতেননি, হেরে গিয়েছেন। তারপরও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। সোমবার কারও নাম না করে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (WB CM Mamata Banerjee)-কে বিঁধলেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় (DYFI State President Minakshi Mukherjee)।
এদিন বাম ছাত্র-যুবরা আসানসোলের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তবস্সুম আরার শাস্তির দাবিতে কুলটি বোরো অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ হয়। তাবাসুম আরার শাস্তির দাবি তুলে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি এক মহিলাকে করোনার টিকা দিয়েছেন। কিন্তু তিনি নিজে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী নন। সে ব্যাপারে তাঁর কোনও প্রশিক্ষণও নেই।
ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় (DYFI State President Minakshi Mukherjee) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (WB CM Mamata Banerjee)-এর তুমুল সমালোচনা করেন। তাঁর কটাক্ষ, ভোট যদি না দাঁড়াতেন, দলনেত্রী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতেন, তা হলে বলা যেত। ভোটে জেতেননি, গোহারা হেরেছেন। বলেছন, গণনা প্রক্রিয়া ভুল, হেরে যাবেন বলেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় (DYFI State President Minakshi Mukherjee) আরও বলেন, হেরে গিয়েছেন। তিনি নিজে ভুয়ো। আর তাঁর দলের নেতারা সারদা-নারদাতে বার বার জেলে যাচ্ছে। আইএএস ভুয়ো। টিকা দিচ্ছে।
মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় (DYFI State President Minakshi Mukherjee)-এর দাবি, নন-মেডিক্যাল, সিরিঞ্জ কেড়ে টিকা দিচ্ছে। যাদের পাওয়া উচিত, যাদের মাধ্যমে, মানুষ যাতে আরও ভয় পান, তাই এই কাজ করছে তৃণমূল। বোরো, পুরসভা, সিএমওএইচকে দেখতে হবে কারা পাচ্ছেন, কাদের মাধ্যমে পাচ্ছে।
এদিন মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় (DYFI State President Minakshi Mukherjee) আরও বলেন, যে দলের মুখ্যমন্ত্রী নিজে হেরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যান, ভোটে না লড়লে বলা যেত। ভোটে লড়েছেন, হোহারা হেরেছেন, তারপর তিনি যদি নিজে মুখ্যমন্ত্রী হেরে যান। আসলে তো চেয়রের ঝামেলা
তিনি মুকুল থুথু চাটতে গেল। সরকারের কোন দিকে নজর আছে? কোনও দিকে তো নজর নেই। আন্দলোন করতে গেলে তো পুলিশ গ্রেফতারা করবে। ব্যস এইটুকুই। জাল ভ্যাকসিন, টিকা দেওয়া হচ্ছে না। জল মাথার ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছে।
মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় (DYFI State President Minakshi Mukherjee)-র অভিযোগ, এই বিদায়ী ডেপুটি মেয়র তথা বর্তমান পুরপ্রশাসক বোর্ডের সদস্য তাবাসুম আরা অতীতে অনেক বিতর্কে জড়িয়েছেন। নিজের দলের তরফে ও পুরনিগমের তরফে শোকজ করা হয়েছে। কিন্তু ওই পর্যন্তই।
এবার তাবাসুম আরার এই অনৈতিক কাজের প্রশাসনিকভাবে শাস্তি না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন বাম নেত্রী। অভিযোগ, আগাম অনুমতি নেওয়া সত্ত্বেও নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ বাম ছাত্র-যুবরা বিক্ষোভ কর্মসূচিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।
পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ায় মিনাক্ষী সহ অন্য নেতৃত্ব। এদিন কুলটি বোরো অফিসে বড় কোনও অধিকারিকের দেখা না মিললেও অফিসে ডেপুশন কপি জমা দেওয়া হয়।
রবিবার অভিযোগ দায়ের করেছিল বিজেপি। সোমবার তবাস্সুম আরাকে গ্রেফতারের দাবিতে কুলটি বিজেপির পক্ষ থেকে ডিসি পশ্চিমের সঙ্গে দেখা করা হয়। অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।