করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্যের প্রথম সারির এক কোভিড যোদ্ধা (Covid Warriors)। প্রয়াত রাজ্য স্বাস্থ্য-পরিবহণ দফতরের শীর্ষ আধিকারিক গৌতম চৌধুরী (Goutam Chowdhury )। রাজ্যে টিকা আনা থেকে বণ্টন, সমস্ত কাজেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি। এছাড়াও ১০২টি অ্যাম্বুল্যান্সের দায়িত্বে ছিলেন এই আধিকারিক। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাঝে গৌতম চৌধুরীর মৃত্যু একটা বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকে।
জানা গিয়েছে করোনায় (Corona) আক্রান্ত হয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই চিকিৎসাধন ছিলেন গৌতম চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু সংবাদ জানা যায়। করোনার প্রথম ঢেউ থেকেই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। রাজ্যে টিকা আনা, বিমানবন্দর থেকে বাগবাজারের সেন্ট্রাল হেলথ স্টোর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া, তারপর তা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া, সবটাই চলত তাঁরই তত্ত্বাবধানে।
টিকার (Vaccine) জন্য ভারত বায়োটেক বা সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়িত্বও ছিল গৌতম চৌধুরীর। কবে কখন টিকা আসবে, কতগুলি আসবে, কীভাবে আসবে, সবকিছুতেই নজর রাখতেন তিনি। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে এবার মারণ ব্যাধীর বলি হলেন নিজেই।
প্রসঙ্গত শুধু গৌতম চৌধুরীই নয়, এর আগেও করোনার বলি হয়েছেন রাজ্যের বহু কোভিড যোদ্ধা। তাঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা, তেমনই রয়েছেন পুলিশ কর্মীরাও। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশানের রিপোর্ট অনুযায়ী শুধুমাত্র করোনার দ্বিতীয় ওয়েভেই রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জন চিকিৎসকের। গোটা দেশ মিলিয়ে সেই সংখ্যাটা ৫৯৪। আর করোনার প্রথম ঢেউ থেকে এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ১,৩০০ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।