আংশিক লকডাউন আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এবার সেই লকডাউনের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। সেখানে একাধিক নয়া নির্দেশিকা দিয়েছে সরকার।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিয়ে বাড়িতে ৫০ জনের বেশি লোকজন আমন্ত্রণ করা যাবে না। শুধু বিয়ে বাড়ি নয়, যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে একথা প্রযোজ্য। যাঁরা আমন্ত্রিত থাকবেন, তাঁদের সামাজিক দূরত্ব বিধি ও মাস্ক পরে থাকতে হবে। নির্দেশিকা ভাঙলেই প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
গতকাল যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, সেখানে অনেক বিষয় স্পষ্ট ছিল না। আজকের নির্দেশিকায় সেই সব স্পষ্ট করা হয়েছে। ছাড় দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি দোকানকে। বলা হয়েছে, পূর্বের নির্দেশিকা মতো সকাল ৭টা থেকে ১০টা ও বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত হাটবাজার সব খোলা থাকবে। তবে নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সবসময় খোলা থাকবে মুদিখানা, দুধ, মিষ্টি, মাংস, বিদ্যুতের সরঞ্জামের দোকান। এইগুলি যেহেতু অত্যাবশকীয় পণ্যের দোকান তাই ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নবান্ন। তবে কড়াকড়ি খানিকটা শিথিল করলেও, সব ক্ষেত্রেই মাস্ক ও স্যানিজাইজারের ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি পালন বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে সরকার।
প্রসঙ্গত, গতকালই আংশিক লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। নির্দেশিকায় বলা হয়, হাট-বাজার কেবল খোলা থাকবে সকালে ৭টা থেকে ১০টা এবং বিকেলে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও বিনোদনমূলক সব অনুষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ থাকবে সব ধরনের শপিং মল, জমায়েত, স্পা, বার, রেস্তোরাঁ। রাস্তায় বের হলেই পরতে হবে মাস্ক।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। আজই করোনায় প্রাণ যায় রাজ্যের আরও দুই চিকিৎসকের। সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে মৃত্যু হল প্রবীণ ক্যান্সার রোগ বিশেষজ্ঞ জি এস ভট্টাচার্যর ও আসানসোল জেলা হাসপাতালে মারা যান অলোক মুখোপাধ্যায়।