বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) নিজেদের সাপ্তাহিক রিপোর্টে জানিয়েছে, লাগাতর ২ সপ্তাহ ধরে করোনার কেস বাড়লেও জানুয়ারির শেষ থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত কেস কমতে দেখা গিয়েছিল। এছাড়া ২১-২৭ মার্চের মধ্যে যে পরিমান কেস হয়েছে তা তার আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৪ শতাংশ কম। তবে এই সময়ের মধ্যে করোনায় মৃত্যুর পরিমান ৪৩ শতাংশ বাড়তে দেখা গিয়েছে।
হু-এর ৬টি এলকায় ১ কোটিরও বেশি নতুন কেস সামনে এসেছে, আর মত্যু হয়েছে ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষের। তবে সবকটি জায়গার সাপ্তাহিক রিপোর্টেই নতুন কেস কমতে দেখা গিয়েছে। এছাড়া ৪টি অঞ্চলে সাপ্তাহিক মৃত্যুও কমেছে। আগের রিপোর্ট অনুযায়ী এই ৬ জায়গায় করোনায় ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং ১.২০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেশগুলিকে ব্যাপকভাবে টেস্ট এবং অন্যান্য নজরদারি ব্যবস্থা কার্যকর করার আবেদন জানিয়েছে, যাতে ভাইরাসের বিস্তার সনাক্ত করে তাকে নির্মূল করা যায়।
'সঠিকভাবে তথ্য সংগ্রহ হচ্ছে না'
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, সঠিকভাবে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডেটা সংগ্রহ করা হচ্ছে না। ফলে এটা জানা যাচ্ছে না যে আসলে ভাইরাস কোথায় আছে, কীভাবে ছড়াচ্ছে ও বিকশিত হচ্ছে। সঠিক তথ্য ও বিশ্লেষণই মহামারিকে শেষ করতে পারবে বলে মনে করে হু।
'কোভিড প্রোটোকল সরানো ঠিক নয়'
আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন, ভারতসহ যে সমস্ত দেশে করোনা বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে, সেই সমস্ত দেশকে সতর্কও করছে হু। কোভিড প্রোটোকল (Covid Protocol) তুলে নিলে নতুন ভেরিয়ান্টের বিষয়ে জানার কাজ প্রভাবিত হবে বলেই মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ডেল্টাক্রন কতটা ক্ষতিকারক, তা এখনও অজানা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, ডেল্টা ও ওমিক্রনকে মিলিয়ে ডেল্টাক্রন নামে নতুন একটি ভেরিয়ান্ট (Deltacron) এসেছে। তবে সেটি কতটা ক্ষতিকারক তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন - এবার শাহরুখের 'জালিমা'য় মন কাড়লেন কিলি পল, নিমেষে Viral Video