গত বছর ২২ শে মার্চ থেকে লাগাতার দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার পর, আবারো আংশিক লকডাউন। এর ফলে নদীয়ার আরংঘাটা অঞ্চলে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের কাঠের অংশটি তৈরি করা বেশকিছু ব্যবসাদার এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত শ্রমিকরা সমস্যার মুখে পড়েছেন। মেহগনি, লম্বু, শিশু, শিরীষ এইরকমই নানা গাছের গুড়ি দিয়ে বানানো হয় বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের কাঠামো। এরপর তা বাটালি দিয়ে বিভিন্ন নকশা করে ফিনিশিং করা হয় মেশিনে। অবশেষে পালিশ করে, কলকাতায় বিভিন্ন পাইকারি দোকানে বিক্রি করা হয়, সেখান থেকে চামড়া , তার অন্যান্য আনুষাঙ্গিক লাগিয়ে ঢাক, ঢোল, তবলা, নাল, খোল, একতারা দোতারা নানাবিধ বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে,বিক্রির উদ্দেশ্যে রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে পৌঁছায়। শুধু তাই নয় বাংলার এই শিল্পীদের কদর রাজ্যের বাইরেও যথেষ্ট। তবে গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকার ফলে, ক্রেতা-বিক্রেতার সমন্বয়ের অভাবে এ ধরনের শিল্পীরা কর্মহীনতার মুখে।