এ যেন একেবারে ফিল্মি কায়দায় 'নিজেকে' খুন। লক্ষ্য নিজেরই বিমা হাতানো। এক আধ টাকা নয়, অঙ্কটা ৩৭ কোটিরও বেশি টাকা। এখন প্রশ্ন 'নিজেকে' খুন করে কীভাবে ওই ব্যক্তি নিজের বিমার টাকা পাবেন? এখানেই আসলে ক্রাইম।
এ যেন একেবারে ফিল্মি কায়দায় 'নিজেকে' খুন। লক্ষ্য নিজেরই বিমা হাতানো। এক আধ টাকা নয়, অঙ্কটা ৩৭ কোটিরও বেশি টাকা। এখন প্রশ্ন 'নিজেকে' খুন করে কীভাবে ওই ব্যক্তি নিজের বিমার টাকা পাবেন? এখানেই আসলে ক্রাইম।
এরইমধ্যে তার টাকার দরকার পড়ে। আমেরিকা থাকাকালীন প্রভাকর কয়েককোটি টাকার বিমা করিয়েছিল। কিন্তু, নিজে না মরলে সেই টাকা পাওয়া অসম্ভব। তাই সে 'নিজেকে' খুনের পরিকল্পনা করে।
কিন্তু, নিজেকে খুন করলে টাকা ভোগ করবে কে? এবার সে আশ্রয় নেয় অপরাধী মানসিকতার। ওই আহমেদনগরের এক পাগলকে হত্যা করে সে। তাও নিজে হাতে নয়, বিষধর সাপের ছোবল খাইয়ে। এবং তারপর সেই ব্যক্তিকে নিজের মৃতদেহ বলে চালানোর চেষ্টা করে।
গ্রামের লোকজনও সেই ব্যক্তিকে প্রভাকর বাঘচোরে নামেই দাহ করে। তার কাগজপত্রও পায় পরিবারের লোকজন। এবার প্রভাকরের ছেলে বিমা দাবি করে।
সেই দাবির কাগজ পৌঁছয় আমেরিকার সেই সংস্থার কাছে যেখানে বিমা করেছিল প্রভাকর। তারা প্রথম সন্দেহ করে। কারণ, এর আগেও প্রভাকর নাকি তাদের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
নিজেদের সন্দেহ নিরসনের জন্য ভারতে আসে আমেরিকার সেই বিমা সংস্থার প্রতিনিধিরা। তাঁরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। আর তারপরই শুরু হয় তদন্ত। এরপরই গোটা ঘটনা সামনে আসে। তাতে তাজ্জব হয়ে যা.ন পুলিশকর্তারা।
এরপরই পুলিশ প্রভাকরকে গ্রেফতার করে। কীভাবে সে পাগল মানুষটিকে খুন করল, এই চক্রান্তের পিছনে আরও কারা ছিল ইত্যাদির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।