দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল মেওয়াত অঞ্চল থেকে মর্ফ ভিডিওর তৈরি করে ব্ল্যাকমেইলের ঘটনায় ৬ জন দুষ্কৃতকারীকে গ্রেফতার করেছে। যে দুষ্কৃতীরা ধরা পড়েছে, তারা লোকদের কাছে ভিডিও কল করত এবং পুরো কলটি রেকর্ড করত। সেই সঙ্গে ফোনে পর্ন ভিডিও চালিয়ে দিত। (দিল্লি থেকে হিমাংশু মিশ্রের রিপোর্ট)
পরে, ভিডিওটি মর্ফ করে দেওয়া হত, যা দেখে মনে হত সামনের ব্যক্তিটি অশ্লীল পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই ভিডিওটি দেখিয়ে দুষ্কৃতীরা ব্ল্যাকমেইল করত। টাকা না দিলে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকিও থাকত। পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে ১৭ টি মোবাইল ফোনের পাশাপাশি ৪০ টি ভিডিও উদ্ধার করেছে।
সাইবার সেলের ডিসিপি অন্বেশ রায় জানান, কয়েক দিন আগে দিল্লির সাইবার সেলে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন যে কিছু লোক তাকে ব্ল্যাকমেল করছে। ভুক্তভোগী পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে, 'ওই লোকেরা বলছে যে তাদের একটি ভিডিও কল রয়েছে যাতে আমি অশ্লীল কাজ করে যাচ্ছি, কিন্তু আমি এর আগে কোনও কল করি নি।'
পুলিশ ফোন নম্বরটি দিয়ে অভিযুক্তদের সন্ধান শুরু করে, পুলিশ জানতে পারে যে অভিযুক্তরা ফোন নাম্বারগুলি অন্য অন্য রাজ্যের ব্যবহার করছে তবে মোবাইলগুলি ভারতপুর অঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে।
তদন্ত চলাকালীন ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলার সময় পুলিশ জানতে পারে যে অভিযুক্তরা ভুয়ো ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করত, যা খুব আকর্ষণীয় হত। এর পরে, তারা অনেক লোকের কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাত।
যাঁরা তাদের ফ্রেন্ড রিকোয়েন্ট অ্যাকসেপ্ট করত, তাদের প্রোফাইল দেখে টার্গেট নির্ধারণ করত দুষ্কৃতীরা। এর পরে, চ্যাট শুরু করতে, কয়েকদিন পর ভিডিও কল। যখন ভিডিও কলগুলি চলত, তখন একটি মোবাইলে পর্ন ভিডিও প্লে করা হত। পরে তারা ভিডিওটি এমনভাবে এডিট করত যাতে দেখে মনে হয় যে সামনের ব্যক্তিটি অশ্লীল ক্রিয়াকলাপ করছে।
টেকিনিকাল সার্ভিলেন্সের ভিত্তিতে পুলিশ ভরতপুর এলাকা থেকে ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম রাইস, ওয়াহিদ, আক্রম, মুফিড, আনাস ও বাহিস। পুলিশ তাদের কাছ থেকে১৭ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে এবং তাদের ১০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও পুলিশ পেয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, লোককে ভয়া দেখাতে তারা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করত। কখনও নিজেদের এজেন্সি আধিকারিক আবার কখনও কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত অফিকারিক হিসাবে পেশ করতে। এমনকি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিত।