প্রথম ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রস্তাব। তারপরে মোটা টাকা দাবি। সেই দাবি না মানলে ধর্ষণের ভুয়ো অভিযোগ আনা। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দুইজন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, ধর্ষণের মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন যুবকের কাছ থেকে টাকা তুলত তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই যুবতী বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত। যুবকদের সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব তারপরে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করত। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিও দিত তারা। এরপরেই বাড়িতে ডেকে ভুয়ো ধর্ষণের মামলা করবে বলে ভয় দেখাত।
মুরাদাবাদের এএসপি অনিল যাদব জানিয়েছে, শচীন নামে এক ব্যক্তি তাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছিল। তখন একজনের মারফত ওই দুই যুবতীর সঙ্গে আলাপ হয়। মোবাইল নম্বর আদান প্রদান হয়।
সচিনের অভিযোগ, এরপরেই ওই দুই যুবতীকে তাকে বাড়িতে ডেকে পাঠায়। সেখানে সচিনকে একটি ঘিরে আটকে রাখে তারা। তারপরে তাদের আরও বেশ কয়েকজন সহযোগী চলে আসে। তারা হুমকি দেয় ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ এনে সচিনকে জেলে পাঠাবে।
সেই সময়ে ভয় পেয়ে সচিন তাদের টাকা দিয়ে দেয়। পরে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় সে। এএসপি জানায়, এই গ্যাংয়ের কাজ ছিল বিয়ের অজুহাতে ফাঁদে ফেলে লোকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দলটিতে মোট ৬-৭ জন রয়েছে। যার মধ্যে দুজন মহিলা এবং বাকিরা পুরুষ। সবাইকে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।