Jalpaiguri Minor Murder Case: দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য।পরিবারের অভিযোগ ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত বালাপাড়া এলাকায়। কিশোরীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন রাতে ঘটনার সময় ওই ছাত্রী বাড়িতে একাই ছিল। এক আত্মীয় তাঁদের বাড়িতে গিয়ে প্রথম দেখেন কোয়েল ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। তার কিছুটা পাশেই সিলিং থেকে একটি শাড়ি ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।
পরিবারের দাবি তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় দুই যুবকের নাম উঠে এসেছে। সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। চিনে ফেলায় খুন করে থাকতে পারে দুষ্কৃতীরা। রবিবার সকালে এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বালাপাড়া এলাকায়। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে যে দুই যুবকের নাম উঠে আসছে তাদের একজনের বাড়ি ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাবা দিনমজুর। শনিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীকে নিয়ে আত্মীয়য়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিশোরী এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সন্ধ্যায় ওই নাবালিকা একাই ছিল। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় দরজার ছিটকিনি ভেতর থেকে ভাঙা, মেঝেতে পরে রয়েছেন নিথর নাবালিকা। নিহত কিশোরীর বাবার দাবি, মেয়ে প্রাইভেট পড়ে এসে ঘরে একাই ছিল, তখনই এই ঘটনা ঘটেছে। ওকে খুন করা হয়েছে বলে তাঁদের সন্দেহ।
ওই কিশোরীর মামার দাবি, দুষ্কৃতীরা ভাগ্নিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু প্রতিরোধ করায় হয়তো পারেনি। কিন্তু ছেলেদের চিনে ফেলায় হয়তে তাকে খুন করেছে প্রমাণ লোপাট করার জন্য। শনিবার রাতেই মৃত নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। এক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।