Advertisement

সিঁথি-হাওড়ায় জাল পরিচয়পত্রের আখড়া? বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ কাণ্ডে ধৃত আরও ৩

ধৃতদের জেরা করে উত্তর কলকাতার (North Kolkata) সিঁথি থানা এলাকার এক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়। তারপর বুধবার সিঁথি থানার অন্তর্গত মণ্ডল পাড়া এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে নিজের বাড়ি থেকেই বিশ্বজিৎ দে নামে বছর ৫৩-র এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এই বিশ্বজিৎ দে-ই মাহফুজুর রহমানকে জাল নথি তৈরি করে দিতে বলে দাবি পুলিশের। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে অসংখ্য ব্ল্যাঙ্ক আধার কার্ড, আধার কার্ডের এনরোলমেন্ট ফর্ম এবং বিভিন্ন নামে অসংখ্য ব্যক্তির আধার কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরপর ধৃত বিশ্বজিৎকে জেরা করে তার আরও দুই সহযোগীর সন্ধান মেলে। 

প্রতীকী ছবি
রাজেশ সাহা
  • কলকাতা,
  • 16 Dec 2021,
  • अपडेटेड 10:20 AM IST
  • বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকাণ্ডে তদন্ত জারি
  • গ্রেফতার আরও ৩
  • হাওড়ার একটি দোকানের হদিশ

বাংলাদেশী নাগরিকদের (Bangladeshi Citizen) ভারতে অনুপ্রবেশ করিয়ে জাল নথিপত্র এবং জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়া ও মানব পাচারের ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল আনন্দপুর থানার পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ১৭ বাংলাদেশির মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমানকে জেরা করে এই জাল পরিচয়পত্রগুলি কোথা থেকে বানানো হতো তা জানার চেষ্টা শুরু করে পুলিশ। 

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জেরা করে উত্তর কলকাতার (North Kolkata) সিঁথি থানা এলাকার এক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়। তারপর বুধবার সিঁথি থানার অন্তর্গত মণ্ডল পাড়া এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে নিজের বাড়ি থেকেই বিশ্বজিৎ দে নামে বছর ৫৩-র এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এই বিশ্বজিৎ দে-ই মাহফুজুর রহমানকে জাল নথি তৈরি করে দিতে বলে দাবি পুলিশের। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে অসংখ্য ব্ল্যাঙ্ক আধার কার্ড, আধার কার্ডের এনরোলমেন্ট ফর্ম এবং বিভিন্ন নামে অসংখ্য ব্যক্তির আধার কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরপর ধৃত বিশ্বজিৎকে জেরা করে তার আরও দুই সহযোগীর সন্ধান মেলে। 

বিশ্বজিৎকে সঙ্গে নিয়েই হাওড়ার (Howrah) শিবপুর থানা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারী আধিকারীকেরা। পুলিশ জানাচ্ছে, জেরার মুখে ভেঙে পড়ে ধৃত বিশ্বজিৎ হাওড়ার জিটি রোডের একটি দোকানের সন্ধান দেয়। সেই দোকানে তল্লাশি চালিয়েই অসংখ্য জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করে আনন্দপুর থানার পুলিশ। সেই দোকান থেকেই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জীব কুমার দাস এবং ভারত সিং নামে দুই ব্যক্তিকে। এই দুজন ব্যক্তি বিশ্বজিতের সহযোগী বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত এই তিনজন জাল পরিচয় পত্র বানিয়ে দেওয়ার একটি চক্র চালাত। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী চক্রের মূল পান্ডা মাহফুজুর রহমানকেও টাকার বিনিময় এরাই জাল ভারতীয় পরিচয় পত্র বানিয়ে দিয়েছে।

Advertisement


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement