বলিউড অভিনেতা সলমন খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় বড় সাফল্য পেয়েছে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গুজরাতের ভুজ থেকে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই পদক্ষেপের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সূত্রের খবর, ভুজে গুলি চালানোর ঘটনায় জড়িত দুই বাইক আরোহী অভিযুক্তকেই খুঁজে বের করেছে পুলিশ। একটি দল গুজরাতে গিয়ে অভিযুক্ত দুজনকেই গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত দুজনকেই সকালের মধ্যে মুম্বই আনা হবে। এখানে পুলিশ অভিযুক্ত দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তথ্য অনুযায়ী, ক্রাইম ব্রাঞ্চের দল ভুজের মাতা কা মাধের কাছে থেকে অভিযুক্ত দুজনকেই গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের নাম ভিকি গুপ্তা (২৪ বছর) এবং সাগর (২১ বছর)। অভিযুক্ত দুজনই বিহারের চম্পারণের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার ভোর ৫টার দিকে বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে দুই বাইকআরোহী চার রাউন্ড গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, গুলি চালানোর সময় সলমন খান তাঁর বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁর কোনও ক্ষতি হয়নি।
গুলি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্তরা একটি গির্জার কাছে তাদের বাইকটি রেখে দেয়। এরপর কিছুটা দূর তারা হাঁটে। তারপর অটোরিকশা করে বান্দ্রা রেল স্টেশনে যায়। তারপর সান্তাক্রুজ স্টেশন যাওয়ার ট্রেনে চড়ে এবং আরও যাওয়ার জন্য আরেকটি অটোরিকশা ভাড়া করে।
লরেন্স বিষ্ণয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। জেলে থাকা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এবং ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার সলমন খানকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বেশ কয়েকবার। সূত্রের খবর, অভিনেতাকে খুন করার জন্য বিষ্ণোই এবং ব্রার তাদের শ্যুটারদের মুম্বই পাঠিয়েছিল।
১৯৯৮ সালের কালো হরিণ শিকারের ঘটনার কারণে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল সলমনকে টার্গেট করেছে বলে অভিযোগ। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে কালো হরিণকে পবিত্র বলে মনে করা হয়।