হুগলির ধনেখালিতে বাবা, মা এবং বোনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলেন প্রমথেশ ঘোষাল। ২০২১ সালের ৮ নভেম্বরের সেই ভয়াবহ ঘটনায় এদিন দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল চুঁচুড়া জেলা আদালত। চুঁচুড়া আদালত সোমবার অভিযুক্ত প্রমথেশ ঘোষালকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে। চুঁচুড়া আদালতের বিচারক সঞ্জয় কুমার শর্মা এই রায় দেন।
সোমবার চুঁচুড়া আদালতের বিচারক সঞ্জয় কুমার শর্মা শুনানির পর দোষীকে ফাঁসির সাজা শোনান। পরিবারে বাবা, মা, বোনকে হাতের শিরা, গলার নলি কেটে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন প্রমথেশ ঘোষাল নামে অভিযুক্ত। পেশায় গৃহশিক্ষক প্রমথেশ সাজা ঘোষণার পর এজলাসে দাঁড়িয়ে বিচারকের কাছে মুক্তির আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক সেই আবেদন নাকচ করে দেন। তিন বছর আগে ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর ধনেখালি থানার অন্তর্গত দশঘড়া গ্রামের পালপাড়া এলাকায় প্রমথেশ ঘোষাল তার বাবা অসীম ঘোষাল (৬৮), মা শুভ্রা ঘোষাল(৬০) ও বোন পল্লবী চ্যাটার্জিকে(৩৮) গলার নলি ও হাতের শিরা কেটে খুন করেন। নিজেও হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ প্রমথেশকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। পল্লবীর স্বামী পার্থ প্রমথেশের নাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর প্রমথেশ সুস্থ হলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। এদিন সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, ‘মোট ১৪ জন খুনের মামলায় স্বাক্ষী দিয়েছেন। খুনের ভয়াবহতা বিচার করে বিচারক মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। পুলিশ সঠিক সময়ে চার্জশিট জমা দিয়েছে।’ হুগলির পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, আদালত ও বিচার ব্যবস্থার উপর সবাইকে আস্থা রাখতে হবে।
প্রমথেশ পেশায় গৃহশিক্ষক ছিলেন। সাজা ঘোষণার হওয়ার পর এজলাসে দাঁড়িয়ে বিচারকের কাছে মুক্তির আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু বিচারক তাঁর আবেদন নাকচ করে দেন। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সুপার কামনাশিস সেন এই রায়ের পর বলেন, “আইন ও বিচার ব্যবস্থার উপর সকলের আস্থা থাকা উচিত। অপরাধ যত বড়ই হোক, তার শাস্তি হবেই।” পেশায় গৃহশিক্ষক প্রমথেশ হত্যাকাণ্ডের সময় মানসিক চাপে ছিলেন বলে অভিযোগ। তবে আদালত তার অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় মুক্তির আবেদন নাকচ করেছে।