জুনিয়র মৃধা (Junior Mridha) হত্যাকাণ্ডে এবার সিবিআই-এর দফতের নিহতের বাবা মা। তদন্তের প্রয়োজনে শুক্রবার (Friday) জুনিয়রের বাবা মাকে ডেকে পাঠায় সিবিআই (CBI)। সেই মতো এদিন বিকেলে সল্টলেকে সিবিআই-এর দফতরে পৌঁছান তাঁরা। সূত্রের খবর জুনিয়রের বাবা মায়ের সঙ্গে ঘটনায় ধৃত প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই কর্তারা।
প্রসঙ্গত জুনিয়র মৃধা হত্যাকাণ্ডে প্রায় ১০ বছর পর গত ৪ জানুয়ারি নিহতের বান্ধবী তথা মোহনবাগানের প্রাক্তন কর্তা বলরাম চৌধুরীর প্রাক্তন পুত্রবধূ প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেদিন প্রায় ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় প্রিয়াঙ্কাকে। বর্তমানে সিবিআই-এর হেফাজতের রয়েছেন অভিযুক্ত।
২০১১ সালের ১২ জুলাই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেস ওয়ের ওপর পেশায় সফটওয়্য়ার ইঞ্জিনিয়ার জুনিয়ার মৃধার দেহ উদ্ধার করে বরানগর থানার পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে এটিকে হিট এন্ড রানের ঘটনা বলেই মনে করেছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জুনিয়রকে খুন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। কিন্তু ২ বছর পর সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহতের পরিবার। আদালতের নির্দেশেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সেই তদন্তেই গত ৪ তারিখ সল্টলেকে সিবিআই-এর দফতরে ডেকে পাঠানো হয় প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে। প্রায় চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রিয়াঙ্কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও ঘটনায় কোনওরকম জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী।