ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে (Fake Vaccine Case) ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারি অফিসারদের হাতে। পাশপাশি তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে দেবাঞ্জনের কর্মী ও প্রাক্তন কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছেন তদন্তকারিরা। এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে তলব করা হয়েছে। আরও বেশকয়েকজনকে ডাকা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও তদন্তকারিরা জানতে পেরেছেন, বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে চিঠি লিখত দেবাঞ্জন। কলকাতা পুরসভা, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, পূর্ত দফতর সহ বিভিন্ন দফতরের স্ট্যাম্পও তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
সূত্রের খবর জেরায়, দেবাঞ্জন জানিয়েছে কোভিশিল্ড পাঠানোর জন্য সে সেরাম ইনস্টিটিউটে ছিঠি লিখেছিল। সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারিরা। manager@kmcgov.org নামে একটি ভুয়ো ইমেল আইডিও তৈরি করেছিল সে। এখনও পর্যন্ত তার ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এছাড় নিজের সংস্থার নামেও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল তারা। সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই নিজের কর্মীদের বেতন দিত দেবাঞ্জন। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কসবা ও সিটি কলেজে ২টি এই ধরনের টিকাকরণ ক্যাম্পের কথা স্বীকার করেছে দেবাঞ্জন।
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে ভুয়ো টিকাকরণ শিবির চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দেবাঞ্জন দেব নামে ওই ব্যক্তিকে। দেবাঞ্জনের ভুয়ো শিবির থেরে ভ্যাকসিন নেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও (Mimi Chakraborty)। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ারও বেশকিছুক্ষণ পর রেজিস্ট্রেশন বা সার্টিফিকেট সংক্রান্ত কোনও ম্যাসেজ না আসায়, ওই শিবিরে নিজের অফিসের কর্মীদের পাঠান মিমি। সেখান থেকে বলা হয় সার্টিফিকেট আসতে ৩-৪ দিন সময় লাগবে। তারপরেই সন্দেহ হয় মিমির। বিষয়টি পুলিশকে জানান তিনি। সাংসদের কাজ থেকে জানতে পেরে ওই শিবিরে গিয়ে দেবাঞ্জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে ইতিমধ্যেই মিমির অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।