পুকুর থেকে উদ্ধার হল এক চিকিৎসকের মৃতদেহ। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরের শিলপাড়া রামচন্দ্রপল্লি এলাকায়। মৃতের নাম শৈলেন কুণ্ডু। তিনি দাঁতের ডাক্তার। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। আদৌ এটি খুন নাকি আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ওই পুকুরে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় হরিদেবপুর থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী-র সম্পর্ক একেবারেই ভাল ছিল না। প্রায় নিত্যই বাড়িতে অশান্তি হত। সম্প্রতি ওই চিকিৎসকের উপার্জন অনেকটাই কমে গিয়েছিল। ফলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যায়। আর্থিক সমস্যা নিয়েই স্ত্রী তাঁর সঙ্গে নিত্য অশান্তি হত। স্ত্রীয়ের হাতে কয়েকবার মারও খেয়েছেন তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্ত্রীই তাঁকে খুন করে রাতে দেহ পুকুরে ফেলে দিয়েছে।
এই ঘটনায় হরিদেবপুর থানা অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের স্ত্রীকে আটক করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই বোঝা যাবে ওই চিকিৎসকের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে। এর পিছনে কোনও কোনও রহস্য আছে কি না, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।