কুকুর খুবলে খাচ্ছে সদ্যোজাতের দেহ। সাতসকালে এমনই হাড়হিম করা দৃশ্য দেখে চমকে উঠেছিলেন মালদার হ্যান্টাকালী মন্দিরে প্রার্থনা করে আসা সকলে। কোথা থেকে ওই সদ্যোজাতের দেহ কুকুর নিয়ে এলো, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ এসে সদ্যোজাতের দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এলাকাবাসীদের দাবি, মালদা মেডিক্যাল কলেজের একশ্রেণীর কর্মীদের জন্যই এমন ঘটনা হয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয়রা।
ঠিক কী হয়েছিল?
মালদা শহরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন হ্যান্টাকালী মন্দির চত্বরে এক সদ্যোজাত শিশুর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মঙ্গলবার। এদিন সকালে মন্দিরের প্রণাম করতে এসে হতবাক হয়ে যান ভক্তরা। দেখা যায়, সদ্যোজাত মৃত শিশুকে কুকুর কোথাও থেকে মুখে করে এনে মন্দিরের সামনে রেখে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করতে থাকে। ঘটনায় ইংরেজবাজার থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সদ্যোজাতের দেহটি উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠায়। পাশেই মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে। এ ধরনের ঘটনা মাঝেমধ্যেই এই এলাকায় ঘটায় প্রশাসনকে সক্রিয় হওয়ার আবেদন জানিয়েছে এলাকাবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ দিনের পর দিন একই ঘটনা ঘটছে এলাকায়। ঘটনার নেপথ্যে থাকা জড়িতদের শাস্তির দাবি সোচ্চার হন এলাকাবাসীরা।
যা জানাচ্ছেন স্থানীয়রা
স্থানীয় বাসিন্দা আশিস রায় জানান, "হাসপাতাল উচিত এসব বিষয়ে নজরে রাখা। কুকুর কোথা থেকে এটা পেলো, সেটাও নজরে রাখা দরকার। সদ্যোজাত মারা গেলে কোথাও নিশ্চয়ই ফেলে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। সেখানে কুকুর গিয়ে মুখে করে নিয়ে আসছে, এটা কী করে সম্ভব? আবার অন্য কেউও সদ্যোজাতের দেহটি রাস্তা ফেলে রাখতে পারে। সেখান থেকে কুকুর মুখে করে নিয়ে আসতে পারে। গোটা বিষয়টির তদন্ত করা দরকার।" তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই তারপরেই পুলিশের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।