কলকাতা থেকে উদ্ধার হল ১০ লক্ষ টাকার জাল নোট। গ্রেফতার করা হয়েছে ২ পাচারকারীকে। ধৃতেরা অসমের বাসিন্দা। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর দল মধ্য কলকাতা এলাকা থেকে হাতেনাতে ধরে ওই দুই পাচারকারীকে।
এসটিএফ অফিসাররা গতকাল, সোমবার দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পায়, যে শহরে বিপুল জাল নোট নিযে ঢুকেছে দুই পাচারকারী। এরপরই কলকাতার এসপ্ল্যানেড এলাকার কাছে ডাফরিন রোড এবং মোয়ো রোড ক্রসিং থেকে আসাম ভিত্তিক দুই কুখ্যাত জাল নোটের কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
তল্লাশি করে তাদের কাছে থেকে ৫০০ ও ২০০ নোটের প্রচুর বান্ডিল পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে ১০ লক্ষ টাকার জাল নোট মেলে তাদের কাছে। ধৃতদের নাম আবদুল রেজ্জাক খান ও শাহার আলি। আজ তাদের আদালতে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে জাল নোট ও নোটের পাহাড় উদ্ধার এখন রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যে বেড়েই চলেছে জাল নোটের কারবার। গত ২৮ ডিসেম্বরই ক্যানিং থেকে বিপুল পরিমাণ জাল নোট বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানা এলাকার তালদি বাস স্ট্যান্ডের কাছে। জানা গিয়েছে, জাল নোট বাজারে চালানোর চেষ্টা করছিল অভিযুক্তরা। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় ক্যানিং থানার পুলিশ। ঘটনায় জালনোট সহ হাতেনাতে ধরা হয় তাদের। ধৃতদের নাম সইফুদ্দিন গাজি এবং আবদুর রহমান হালদার ওরফে মনি। ধৃতদের বাড়ি ক্যানিংয়ের পূর্ব বয়ারসিং এবং শিবনগর এলাকায়।
অন্যদিকে, চলতি মাসেই তপসিয়া অঞ্চল থেকে দেড় লক্ষ জাল টাকা-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতের নাম রকিমুল শেখ। তাঁর বাড়ি মালদহের কালিয়াচকে। ধৃতের কাছ থেকে ৩০০টি জাল ৫০০ টাকার নোট পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, জাল নোট কারবারে অন্যতম মূল অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। শনিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তপসিয়া এলাকায় অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। সেখানেই জাল টাকা-সহ হাতেনাতে পাকড়াও হয় রকিমুল।
আরও পড়ুন-RBI Fake Note Policy: একই সিরিয়াল নম্বরের দুটি নোট, একটা কি তবে জাল? যা জানাল RBI