আন্তর্জাতিক ভুয়ো টেলিফোন এক্সচেঞ্চের পর্দা ফাঁস
রমরমিয়ে বেআইনিভাবে দীর্ঘদিন চালিয়ে অবশেষে আন্তর্জাতিক অবৈধ টেলিফোন এক্সচেঞ্জের পর্দা ফাঁস। সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির পর অবশেষে গ্রেপ্তার একজন।
দিল্লি পুলিশের হাতে এক্সচেঞ্জের সামগ্রী
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল, আন্তর্জাতিক এই টেলিফোন এক্সচেঞ্জ এর পর্দা ফাঁস করে বৃহস্পতিবার। এই অবৈধ টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিদেশে অবৈধভাবে বিভিন্ন ফোন কল করা হতো। যার দরুণ ভারত সরকারের বিচার বিভাগের কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে পর্যন্ত।
গ্রেফতার নবাব খান
এই ঘটনায় বুলন্দশহরের এক বাসিন্দা নবাব খানকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। এই টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি সেই চালাচ্ছিল। এখানে জিএসএম এবং এসআইপি ট্রাঙ্ক ইন্টারনেট কলিং এর মাধ্যমে কাজ করত।
দরিয়াগঞ্জে চলছিল প্রতারণা চক্র
স্পেশাল সেলের কাছে কিছু গোপন সূত্রে খবর এসেছিল, তারপরেই দরিয়াগঞ্জ আনসারি রোড এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। তারা খোঁজ পায় কাটিয়াল হাউস এর তিনতলায় এই অবৈধ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ চালানো হচ্ছিল।
বাজেয়াপ্ত রাউটার, ল্যাপটপ
স্পেশাল সেল এবং টেলিফোন বিভাগের দল তল্লাশি চালিয়ে আরও দুটি সার্ভার ওই ভবন থেকে উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে আড়াই হাজার লাইন জোড়া ছিল। পাশাপাশি স্পেশাল সেল তিনটি হাই স্পিড রাউটার এবং তিনটি ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে।
এর আগেও এমন এক্সচেঞ্জ মিলেছে দিল্লীতে
এর আগে ১৪ জানুয়ারি কেউ এই রকমই একটি ভুয়া টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, ঝিলমিল কলোনি শাহজাদ থেকে ধরা পড়েছিল. সেখান থেকেও কম করার জন্য বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়।
পিছনে কারা, কোথায় যেত কল সব দেখছে পুলিশ
মূলত বিভিন্ন জায়গায় ভুয়ো কল করে প্রতারণার ছক কষে এই ধরণের সংস্থাগুলি। যারা প্রতারণা করে, তাদের ভুয়ো লাইন এর মাধ্যমে সহযোগিতা করে মোটা টাকার বিনিময়ে। এর পিছনে কারা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। দেশ বিরোধী কার্যকলাপও এখান থেকে করা হতো কিনা, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত না হলেও তদন্ত শুরু হয়েছে।