Advertisement

"গলা টিপে মাকে মেরেছে বাবা", পুলিশকে জানালো ৭ বছরের শিশুকন্যা

পারিবারিক অশান্তির জেরে বাচ্চার সামনেই গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, পশ্চিম বন্দর থানা এলাকার ব্রুক লেনে। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ন'টা নাগাদ এ বিষয়ে খবর পায় পুলিশ।

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 27 Jan 2021,
  • अपडेटेड 12:24 PM IST
  • পারিবারিক অশান্তির জেরে বাচ্চার সামনেই গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে।
  • ঘটনাটি ঘটেছে, পশ্চিম বন্দর থানা এলাকার ব্রুক লেনে।
  • পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ন'টা নাগাদ এ বিষয়ে খবর পায় পুলিশ।

পারিবারিক অশান্তির জেরে বাচ্চার সামনেই গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, পশ্চিম বন্দর থানা এলাকার ব্রুক লেনে। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ন'টা নাগাদ এ বিষয়ে খবর পায় পুলিশ। জানা যায়, কলকাতা বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের একটি কোয়ার্টারের চার তলায় শোওয়ার ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক মহিলার দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পারে,মৃত বছর তিরিশের নাসিমা বিবি আসলে গৃহবধূ। 

সূত্রের খবর, পুলিশ গিয়ে দেখতে পায়, নিজের ঘরে বিছানার ওপর অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে গৃহবধূর নিথর দেহ। নাসিমা বিবির দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। এরপরেই প্রাথমিক তদন্তে নেমে পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ জানতে পারে, স্বামী সোহেল আলির সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত নাসিমা বিবির। মঙ্গলবার তার মৃত্যুর কিছু আগেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চরমে ওঠে বলে পরিবার সূত্রে খবর। 

এদিন গোটা ঘটনাটি ঘটেছে তাদের ৭ বছরের শিশু সন্তানের চোখের সামনেই। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারী আধিকারিককে ওই শিশুকন্যা জানিয়েছে, পারিবারিক বিবাদ চলাকালীনই তার মা নাসিমা বিবিকে বাবা সোহেল আলি নিজে হাতে গলা টিপে মেরেছে। এর পরেই নাসিমা বিবির পরিবারের সদস্যদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে, তার স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।।

ইতিমধ্য়েই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তর প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাকি প্রতিবেশীদের সঙ্গেও এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের লোকজন।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement