Manipur Violence: মণিপুরে হিংসা থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এখন এখানকার চূড়াচাঁদপুর জেলায় নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে। তথ্য অনুযায়ী শোরবুং এলাকায় ব্যাপক গুলিবর্ষণ হচ্ছে। আপাতত এই ফায়ারিং-এ কতজন হতাহত হয়েছে সেই পরিষ্কার তথ্য আসেনি। এলাকা সংবেদনশীল হয়ে রয়েছে।
মণিপুরের গত ৩ মে কুকি সম্প্রদায়ের তরফ থেকে বের হওয়া আদিবাসী একতা মার্চ এর সময়ে এই হিংসা ছড়ায়। এতে কুকি এবং মেতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন থেকেই সেখানকার পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৬০ এর বেশি লোকের এই হিংসায় মৃত্যু হয়েছে। মণিপুরের জনসংখ্যার মধ্যে মেতেই লোকেদের সংখ্যা প্রায় ৫৩ শতাংশ। এবং এর মধ্যে এবং তারা বেশিরভাগ পাহাড়ি এলাকায় থাকেন।
সংসদেও হাঙ্গামা বিরোধীদের
মণিপুরকে নিয়ে সংসদেও হাঙ্গামা হয়েছে। মনিপুর হিংসা নিয়ে সড়ক থেকে নিয়ে সংসদ পর্যন্ত হাঙ্গামা শুরু হয়েছে। ২০ জুলাই থেকে শুরু হওয়া মনসুন অধিবেশন লাগাতার স্থগিত হচ্ছে। আসলে বিপক্ষ দল মণিপুর হিংসাতে আলোচনা চাইছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দেওয়ার জন্য তিনি ২৬ জুলাই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশও দেয়। যেটি গ্রহণ করে নেওয়া হয়েছে। যদিও এর ওপর চর্চার জন্য আগামী সপ্তাহের সময়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে রাজ্যসভাতে মণিপুরে হিংসার ওপর প্রস্তাবের দাবির সময়, সভাপতি তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীশ ধনকরের চেয়ারের সামনে পৌঁছে বিরোধ করার জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
কালো কাপড়ে প্রতিবাদ
সেখানে বিপক্ষ জোট ইন্ডিয়া, বৃহস্পতিবার বড় বৈঠক ডেকেছে। সেখানে বিরোধী দলের সংসদ কালো পোশাক পরে পৌঁছন। বিরোধী সংসদরা মণিপুর এর ওপর আলোচনার অনুমতি না দেওয়া এবং অনাস্থা প্রস্তাবের উপর চর্চা শুরু হওয়া নিয়ে কেন্দ্র সরকারেরকে বিরোধী কাল কাপড় পড়ে প্রতিবাদ জানান।
মহিলাদের নগ্ন করে সড়কে ঘোরানো হয়
মণিপুরে ১৯ জুলাই দুই মহিলাকে বস্ত্রহীন অবস্থায় রাস্তায় ঘোরানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে তুলকালাম শুরু হয়। গোটা দেশে এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। তদন্তে জানা যায় যে এই ঘটনার ৪ মের। এই ঘটনার অভিযোগ ১৮ মে করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ ২১ জুন পর্যন্ত পদক্ষেপ করেনি। ২১ জুন মামলা দায়ের করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সরকার এবং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। চাপে পড়ে দু'দিনের মধ্যে ৫ জন অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। মণিপুরে হিংসা আটকানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী অমিত শাহ এবং এন বীারেন সিংকে দায়ী বলে প্রচার শুরু করে। এরপর ২৩ জুলাই কুকি এবং জোমি সম্প্রদায়ের সঙ্গে জড়িত ৭ কুকি মহিলার সঙ্গে এই অপকর্ম করা হয়েছে বলে দাবি তোলেন। তাঁদের দাবি ছিল যে এখনও পর্যন্ত হিংসায় ২৭ মহিলাকে অত্যাচার করা হয়। সঙ্গে ধর্ষণও করা হয়। আটজনের হত্যা করা হয়, দুজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং ৩ জন কে ভিড়ের মধ্যে পদপৃষ্ঠ করে মারা হয়. যদিও সিএম এন বীরেন সিং এই দাবি খারিজ করে দেন। তিনি দাবি করেছেন যে এখনও পর্যন্ত হিংসার সঙ্গে জড়িত ৬০৬৮টি টিএফআইয়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে শুধু একটি ঘটনা রয়েছে ধর্ষণের।
মণিপুরের এই ঘটনার উপর রাষ্ট্রপতি শাসন ৩৫৬ ধারা অনুসারে জারি করার দাবি তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা।পাশাপাশি জমি কাউন্সিল সঞ্চালন সমিতি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। তাতে বিষয়টিকে সংবেদনশীল বলে দাবি করে দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।