পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি এলাকা থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, মৃতের নাম নিরঞ্জন পাত্র (৩২)। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, আজ সকালবেলা পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি ওসিপি এলাকায় এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে পাণ্ডবেশ্বর থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই নিরঞ্জনের পরিবার তাঁকে শনাক্ত করেছে। এরপর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, জামুরিয়ার একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন নিরঞ্জন। কলেজের পর আর বেশিদূর পড়াশোনা চালাতে পারেনি সে। সংসারে রয়েছে বাবা-মা এবং স্ত্রী। কিন্তু, লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তিনি কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। বাবার চাষবাসের টাকায় কোনওক্রমে তাঁদের সংসার চলত।
প্রতিবেশীরা আবার জানিয়েছেন, ইসিএলের চাকরির জন্য জমির কোটা কেনা ছিল নিরঞ্জনের। কিন্তু, সেই কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সেই কাজকর্ম আটকে রয়েছে। বহু চেষ্টা করেও ত্রুটি সংশোধন করানো সম্ভব হয়নি। সেকারণে নাকি বিগত কয়েকদিন ধরেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
নিরঞ্জনের বাবা হরেন পাত্র বললেন, "এই মাসের ২ তারিখ আমার ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে সে আর ফিরে আসেনি।"
অন্যদিকে নাড়ুগোপাল পাত্র নামে তাঁর এক দাদা জানিয়েছেন, "বিগত কয়েকদিন ধরেই ও মানসিক অবসাদে ভুগছিল। এরপর হঠাৎ করেই গত ২ তারিখ ও বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছিলাম। কিন্তু, ওকে খুঁজে পাইনি। আজ সকালবেলা হঠাৎ করে আমরা এই জঙ্গলে এসে দেখি ওর দেহ এখানে ঝুলছে। সঙ্গে ওর সাইকেলটাও পাওয়া গেছে। তারপরেই আমরা চিহ্নিত করি যে ও আমাদেরই পরিবারের সন্তান।"
প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে যে মানসিক অবসাদের কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে নিরঞ্জন। যদিও গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।