ইউপির হাপুরে লোন রিকভারি এজেন্টের ঝামেলায় মেয়ে সহ এক দম্পতি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই গণ-আত্মহত্যার বিষয়ে পুলিশ জানায়, স্বামী-স্ত্রী ও তাদের ১৮ বছরের মেয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গ্রামবাসীদের দাবি, ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করতে না পারায় লোন রিকভারি এজেন্ট তাঁদের হয়রানি করেছিল।
রিকভারি এজেন্টরা পরিবারকে হয়রানি করছিল: গ্রামবাসী
ঘটনাটি কাপুরপুর এলাকার সাপনাভাত গ্রামে ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এখনও এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ পায়নি। পুলিশ জানিয়েছে যে গ্রামবাসীদের অভিযোগ যে বেসরকারি ব্যাঙ্কের এজেন্টরা ঋণ পরিশোধের জন্য পরিবারকে ক্রমাগত হয়রানি করছিল, তারপরে তারা এই মারাত্মক পদক্ষেপ নেয়।
নিহতদের নাম সঞ্জীব রানা (৪৮), স্ত্রী প্রেমবতী (৪৫) ও মেয়ে পায়েল (১৮)। পরিবারে দুই নাবালক ছেলেও রয়েছে। কাপুরপুরের এসএইচও অবনীশ শর্মা জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে তিনি তার সন্তানদের পড়াশোনার জন্য একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন।
পুলিশ জানায়, ৩১ অগাস্ট রাতে পাঁচজন রিকভারি এজেন্ট রানার বাড়িতে পৌঁছে পরিবারকে হুমকি দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামবাসীরা বলেছে যে পরিবার এতে গ্লানিতে ভুগতে শুরু করেএবং তারা আত্মহত্যা করে।
মামলার তদন্তে নিয়োজিত পুলিশ
পুলিশ জানিয়েছে, দম্পতি যখন বিষ খায়, তখন তাঁদের ছেলেরা বাড়িতে ছিল না। গ্রামবাসীরা তিনজনকেই মেরঠের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে যেখানে তাদের মৃত্যু হয়।
সার্কেল অফিসার স্তূতি সিং বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় পরিবার আত্মহত্যা করেছে। সিং বলেছেন যে রবিবার রাতে সঞ্জীব রানা মারা যান এবং সোমবার তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে মারা যান। এসএইচও শর্মা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।