হাওড়ার আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর খুনের ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। মৃতের আত্মীয় কালো খানের অভিযোগ, তাঁদের অন্ধকারে রেখেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পুলিশ তাঁদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করেনি। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। থানা ঘেরাও করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে মৃতের দিদি রোজিনা বেগমের অভিযোগ, ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। এমনকি গতকালের পর থেকে পুলিশ একবারও গ্রামে যায়নি বলেও অভিযোগ তাঁর। অন্যদিকে তাঁর যে প্রাণহানি হতে পারে এমনটা আনিস খান আগেই থানায় জানিয়েছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে তারপরেও পুলিশের তরফে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্নও তুলেছেন পরিবারের লোকেরা।
এদিকে রবিবার সকালে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখতে গ্রামে যায় পুলিশ। আনিস খানের বাড়িতেও তদন্তের জন্য যায় আমতা থানার পুলিশ। ঠিক সেই সময়েই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। যার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তাঁদের অভিযোগ, ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে যাওবার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে দেখতে গিয়েছে। গ্রামবাসীরা পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। দোষীদের যতক্ষণ না গ্রেফতার করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। যদিও পুলিশের পালটা দাবি, তাদের গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং তদন্তে সহযোগিতা করা হচ্ছে না।
ঘটনায় আজ আনিস খানের আমতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন বাম ছাত্র যুব নেতারা। আমতা কলাতলা মোড় থেকে একটি মিছিল করা হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য নেতৃত্ব। এই বিষয়ে এসএফআই-এর জেলা সভাপতি শিল্পা মণ্ডলের অভিযোগ, এক ছাত্রনেতা খুন হয়েছেন। পরিকল্পিত ভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে। এর সঠিক তদন্ত করে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। প্রসঙ্গত এই ছাত্রনেতার মৃত্যুকে ঘিরে ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে।
আরও পড়ুন - সিভিক ভলান্টিয়ারের মা খুন, দুষ্কৃতীদের চিনে ফেলাতেই পরিণতি?