Advertisement

ধনিয়াখালিতে রক্তারক্তি! স্ত্রীকে কুপিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার পর আত্মঘাতী স্বামী

গণেশ রায় পেশায় দিনমজুর হলেও, করোনা (Corona) ও লকডাউনের (Lock Down)জেরে কার্যত কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে অপর্ণা রায় ছিলেন আশাকর্মী। তাঁদের একটি ছেলে ও একটি মেয়েও রয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, লকডাউনে কাজ হারিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন গণেশ। একইসঙ্গে স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে এমনটাও সন্দেহ ছিল তাঁর। 

প্রতীকী ছবি
ভোলানাথ সাহা
  • ধনিয়াখালি,
  • 16 Sep 2021,
  • अपडेटेड 9:30 AM IST
  • স্ত্রীকে খুনের পর আত্মহত্যা স্বামীর
  • উঠে আসছে মানসিক অবসাদ ও সন্দেহের তত্ত্ব
  • তদন্তে হুগলির ধনিয়াখালি থানার পুলিশ

স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ধনিয়াখালিতে (Hooghly Dhaniakhali)। মৃত দম্পতির নাম গণেশ রায় ও অপর্ণা রায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শোকের ছায়া পরিবারে। 

জানা গিয়েছে, গণেশ রায় পেশায় দিনমজুর হলেও, করোনা (Corona) ও লকডাউনের (Lockdown)জেরে কার্যত কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে অপর্ণা রায় ছিলেন আশাকর্মী। তাঁদের একটি ছেলে ও একটি মেয়েও রয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, লকডাউনে কাজ হারিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন গণেশ। একইসঙ্গে স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে এমনটাও সন্দেহ ছিল তাঁর। 

অপর্ণার বাপেরবাড়ির লোকেদের অভিযোগ, সাম্প্রতিককালে মাঝেমধ্যেই তাঁদের মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার চালাতেন গণেশ। এরপর মঙ্গলবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম জমা দিতে বাপের বাড়ি হরিণখোলায় যান অপর্ণা। সেখান থেকে বুধবার শ্বশুরবাড়ি ফেরেন তিনি। সেখানে ফেরার পরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় চরম বচসা। অভিযোগ, এরপরেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে অপর্ণাকে আঘাত করে গণেশ। যার জেরে অপর্ণার শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় আঘাত লাগে। এরপর স্ত্রীকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেয় গণেশ। তারপর পাশের ঘরে গিয়ে নিজেও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। 

বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহদুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। তবে বাবা মায়ের মৃত্যুতে দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্নচিহ্ন।  


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement