যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইন যুক্ত করল কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রের দাবি, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল মৃত ছাত্রের বয়স ১৮ বছর। যদিও পরে খতিয়ে দেখে জানা যায় যে তিনি আগামী ৩১ অক্টোবর ১৮ বছর বয়সী হতেন। আর সেই কারণেই পকসো আইন যুক্ত করেছে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের একজন পদস্থ কর্তা ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, 'মৃত ছাত্র নাবালক ছিলেন এবং মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যাওয়ার সময় তাঁকে নগ্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তাই সেখানে কোনও যৌনতার বিষয় ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।'
রবিবারই শিশু সুরক্ষা কমিশনের অনন্যা চক্রবর্তী নদিয়ায় স্বপ্নদীপের বাড়িতে যান। তাঁর বাবা-মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। অনন্যা চক্রবর্তী রবিবার তাঁর একটি ফেসবুক পোস্টে যাদবপুরের মৃত ছাত্রের নাম না ব্যবহার করার অনুরোধ করেছেন সংবাদমাধ্যকে।
ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে একজন প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী এবং অন্য দু’জন বর্তমান ছাত্র মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্ত। রবিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় দুই পড়ুয়া মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্তকে। আগেই সৌরভকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশও দিয়েছে আলিপুর আদালত। মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তকে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মনোতোষের ঘরেই ‘গেস্ট’ হিসাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের মৃত ছাত্রকে।
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেছেন, 'যাদবপুরের ঘটনায় রবিবার দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে। এক জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক সর্ব ক্ষণ তদন্ত প্রক্রিয়ার তদারকি করছেন।' দেহের ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। দ্রুতই এই মৃত্যুরহসের কিনারা করা হবে।'