পরিবারের ৪ সদস্যকে মেরে পুঁতে দিল এক যুবক। এমনই অভিযোগ উঠেছে। মালদার কালিয়াচক থানা এলাকার ঘটনা। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশের দাবি, নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে ওই যুবক।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর। নিজের বাবা, মা, বোন ও দিদাকে খুন করে বাড়ির মাটির তলায় চার মাস পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই যুবককে। তার নাম আসিফ মহম্মদ ওরফে অনান। তার বয়স ১৮ বছর। বাড়ি কালিয়াচকের গুরুতলা এলাকায়।
আরও জানা গিয়েছে, পাড়াপ্রতিবেশীদের থেকে বেশিরভাগ সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকত। তার ঘর থেকে ল্যাপটপ, একাধিক ফোন, সাউন্ড সিস্টেম, টিভি, সিসি ক্যামেরা সমেত বহু অত্যাধুনিক গ্যাজেট উদ্ধার। বাইরের কারও প্রবেশের অনুমতি ছিল না বাড়িতে। নিজের বাড়িতেই ল্যাব তৈরি করেছিল সে।
অভিযোগ, ওই যুবক বেশ কিছুদিন আগে তার বাবা-মা, বোন, দিদা, ৪ জনকে মেরে ফেলেছে। আর তারপর মাটিতে পুঁতে দিয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে রাত গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কালিয়াচক থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এবং সে নিজে স্বীকার করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ছেলেটা মাধ্যমিক দেওয়ার পর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। পরে ফিরে আসে। অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। মাসখানের পর ফিরে আসে। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। তবে তখন জানান, তার সঙ্গে কেউ ছিল না। পুলিশ মা-বাবাকে পরামর্শ দিয়েছিল, নজরে রাখতে। ল্য়াপটপ কিনে না-দেওয়ার জন্য সে বাড়ি থেকে চলে যায়। বাবা জমিজমা বিক্রি করে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। সে কোনও গবেষণা করতে চায় বলে জানিয়েছিল বাড়িতে।
তাঁরা আরও জানান, কলকাতায় বাড়ি করে দিতে হবে বলে দাবি করেছিলেন। কিছুদিন তাঁদের দেখতে না-পেয়ে খোঁজ করি। তখন সে জানায়, কলকাতায় গিয়েছে। বার বার জিজ্ঞেস করি। একই কথা বলে। আজ আসবে, কাল আসবে জানায়। এমনি সাদাসিধে ছেলে। চলাফেরায় কোনও ইঙ্গিত পাইনি এমন কোনও ঘটনা ঘটিয়েছে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে খুন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যাতে আরও তথ্য পাওয়া যায়। কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে প্রতিবেশীদের সঙ্গেও।