Kolkata Murder: মুম্বই যাওয়ার টিকিট কনফার্ম হয়নি। অবশেষে টিটিই বা চেকারকে ঘুষ দিয়ে টিকিট কনফার্ম করেছিল। আর তারপর বাণিজ্যনগরী গিয়ে চাকরি জোগাড় করেছিল কলকাতার কাঁকুলিয়া রোডের জোড়া খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার এবং তার সঙ্গী শুভঙ্কর মণ্ডল। কলকাতা পুলিশ এমনই দাবি করেছে।
হাওড়া থেকে
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাওড়া থেকে ট্রেনে করে মুম্বই পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করে। কিন্তু মুম্বই যাওয়ার টিকিট কনফার্ম হয়নি। তবে সেই জোগাড়ও করে নিয়েছিল। চেকারকে ঘুষ দিয়ে মুম্বইয়ের টিকিট কনফার্ম করে তারা।
একসঙ্গে ফোন বন্ধ
পুলিশ সূত্রে খবর, ভিকি আর শুভঙ্কর দু'জন একসঙ্গে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। আর তা করা হয়েছিল খুনের পর। ওই দু'জন একসঙ্গে ডায়মন্ড হারবারে গিয়েছিল ১৮ অক্টোবর। দুইজনের মোবাইলের লাস্ট লোকেশন দেখাচ্ছিলো ডায়মন্ড হারবার। এই লাস্ট লোকেশন পেয়ে গোয়েন্দাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়, এরা দু'জন একসঙ্গেই রয়েছে।
ডায়মন্ড হারবারে
কারণ একই সময়ে একই লোকেশনে ওই দু'জনের ফোন বন্ধ হয়ে যায়। তাই পুলিশ নিশ্চিন্ত হয়ে যায় তারা একসঙ্গে রয়েছে। ততক্ষণে শহরে জোড়া খুন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। তাই অন্য রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করে।
যেতে হবে মুম্বই
নিজেদের মধ্যে শলাপরামর্শ করে ঠিক করে চলে যাবে মুম্বই। সেই মতো হাজির হয় স্টেশনে। তবে স্টেশনে গিয়ে মুম্বই পর্যন্ত কোনও টিকিট কনফার্ম করতে পারেনি। এবার ঠিক হয়ে পরেশনাথ পর্যন্ত যাওয়া যাক। তারপরে দেখা যাবে। তো পরেশনাথ পর্যন্ত টিকিট পেয়েছিল তারা। টিকিট কেটেও নয়।
রাতের ট্রেনে
১৮ তারিখ রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ট্রেনে চাপে তারা। টিকিট কনফার্ম করিয়ে নেয় ঘুষ দিয়ে। আর মুম্বই পৌঁছয় ২০ তারিখ, রাত আটটার সময়।
বাবা মারা গিয়েছে, জানায় অফিসে
১৭ অক্টোবর খুনের পর শুভঙ্কর আর বিকি দু'জন যায় ফার্ন রোডের ওই বিল্ডিংয়ে, যেখানে তারা কাজ করত। বিকি ওদের অফিসে গিয়ে বলে, তার বাবা মারা গিয়েছেন। তাই কিছুদিন আসতে পারবে না।
তখন ওই অফিস থেকে দেড় হাজার টাকাও দেওয়া হয়। সেখান থেকে দু'জন চলে যায় ডায়মন্ডহারবার। আর তারপর ১৭ অক্টোবর রাত, পরের দিন ছিল ডায়মন্ড হারবারে।
ওয়াচম্যানের কাজ জুটিয়ে নেয়
তারপরে দুপুরের দিকে একসঙ্গে ফোন বন্ধ করে দেয়। মুম্বাইয়ে ডায়মন্ড হারবার এলাকার অনেক শ্রমিক কাজ করেন। নিজের সোর্স খাটিয়ে এসে ওখানকার একটা বহুতল ভবনে ওয়াচম্যানের কাজ পেয়ে যায়।
সেটি ৪৯ তলার একটি ভবন। আর তারপর থেকে সে ওখানে কাজ করছিল। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা ওই বহুতল আবাসন থেকে তাকে গ্রেফতার করে এবং নিয়ে আসে কলকাতায়। মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হয়। ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।