মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারে বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী। তাঁর অভিযোগ, আরজি করে মৃতা তরুণী চিকিৎসকের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করে দিয়েছেন মমতা ও বিনীত।
বিজেপি নেতা কৌস্তভ অভিযোগ করেছেন,'আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তরুণী ডাক্তারকে। ৯ অগাস্ট ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর নাম ফাঁস করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিনীত গোয়েল। এর পিছনে তাঁদের খারাপ উদ্দেশ্য ছিল। সেই ভিডিও ছড়িয়ে গিয়েছে নেট মাধ্যমে'। কৌস্তভ আরও বলেন,'একটি বাংলা টিভি চ্যানেলে টেলিফোনে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্যাতিতার নাম উচ্চারণ করেছিলেন। পরে সেই জায়গায় 'বিপ' শব্দ দিয়েছে ওই চ্যানেল। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭২ ধারায় অপরাধ করেছেন দু'জনেই'। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আর্জি করেছেন কৌস্তভ।
এ দিকে, আরজি কর-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করেছে সিবিআই। গতকাল, শনিবার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, ৪ জুনিয়র ডাক্তার এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ারের পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হয়েছিল। এ দিন সকালে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও। এছাড়াও, CBI-এর দুর্নীতি দমন শাখা আরও চারটি জায়গায় পৌঁছেছে, যার মধ্যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন এবং টক্সিকোলজির ডেমোস্ট্রেটার ডাঃ দেবাশীষ সোমের বাড়িও রয়েছে। সিবিআই-এর একটি দল ডাঃ সন্দীপ ঘোষের বাসভবনে পৌঁছেছে, দ্বিতীয় দল আরজি কর-এর ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপক দেবাশিস সোমের বাড়িতে পৌঁছেছে এবং তৃতীয় দল আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠের বাড়িতে পৌঁছেছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।
আরজি কর কাণ্ড জুনিয়ার ডাক্তাররা বিক্ষোভ-অবস্থান চালিয়ে যাবেন। জানালেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরাতে হবে। এই দাবি তাঁরা করেছেন। অথচ সেই দাবিকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। কেন সেদিন ভাঙা হচ্ছিল সেমিনার হল লাগোয়া চত্বর তারও জবাব চেয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। তাঁরা জানালেন, এমারজেন্সি ও ওপিডি পরিষেবা সচল থাকবে। সিনিয়ার ডাক্তাররা পরিষেবা দেবেন। তবে জুনিয়ার ডাক্তাররা সেই কাজে ফিরবেন না।