Advertisement

সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে চুঁচুড়ায় গণপ্রহার, চন্দননগরে কিশোরীকে 'ধর্ষণের চেষ্টা'

হুগলির পাঙ্খাটুলি এলাকায় ১১ বছরের ওই কিশোরী ও তার মা-কে নিয়ে ভাড়া থাকেন ভোলা সাউ নামে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎই ভোলার বিরুদ্ধে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে জামাই দাস নামে এলাকার এক যুবক। অভিযোগ, এরপর জামাইয়ের নেতৃত্বেই ভোলাকে লাইট পোস্টে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভোলাকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া থানার পুলিশ।

লাইট পোস্টে বেঁধে মারধর
ভোলানাথ সাহা
  • চুঁচুড়া/চন্দননগর,
  • 17 Jun 2021,
  • अपडेटेड 7:07 AM IST
  • সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্যক্তিকে গণপ্রহার
  • অভিযোগ অস্বীকার সৎ মেয়ের
  • চন্দননগরে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ

সৎ মেয়েক ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে লাইট পোস্টে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়ার পাঙ্খাটুলি এলাকায়। যদিও ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তাঁর সৎ মেয়ে। ঘটনায় গণপ্রহারের মূল পাণ্ডা জামাই দাস নামে এক ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। 

জানা গিয়েছে, পাঙ্খাটুলি এলাকায় ১১ বছরের ওই কিশোরী ও তার মা-কে নিয়ে ভাড়া থাকেন ভোলা সাউ নামে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎই ভোলার বিরুদ্ধে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে জামাই দাস নামে এলাকার এক যুবক। অভিযোগ, এরপর জামাইয়ের নেতৃত্বেই ভোলাকে লাইট পোস্টে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভোলাকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া থানার পুলিশ।

যদিও ভোলার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তার সৎ মেয়ে। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে, বুধবার থেকে জ্বর ছিল। সেটা জানাজানি হতেই হঠাৎ জামাই দাস তার সৎ বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মারধর শুরু করে। কিশোরীর বয়ানের ভিত্তিতে জামাইয়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। 

অন্যদিকে ১৫ বছরের এক কিশোরীরে ধর্ষণের চেষ্টা ও বাধা পেয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল চন্দননগরে। অভিযোগ, চন্দননগররে নবগ্রাম হরিজনপল্লী এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরীকে বুধবার রাতে কেউ বা কারা অপহরণ করে। এরপর তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। বাধা দেওয়ার শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা হয় তাকে। এরপর কিশোরীকে একটি নর্দমায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার ভদ্রেশ্বর থানার অন্তর্গত বিলকুলি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীকে। বর্তমানে ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার।   

এদিকে খবর পেয়ে, হাসপাতালে গিয়ে ওই কিশোরীর সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা দীপাঞ্জন গুহ। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি। শুক্রবার কিশোরীরে দেখতে যাওয়ার কথা এলাকার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। অন্যদিকে ঘটনায় চন্দননগরের ডিসিপি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ভদ্রেশ্বর থানার অফিসার ইন চার্জকে কিশোরীর বয়ান রেকর্ডের কথা বলা হয়েছে, একইসঙ্গে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement