Seoni Crime News: মধ্যপ্রদেশের সিওনি জেলায় গায়ের রোম খাড়া করে দেওয়ার মতো ঘটনা সামনে এসেছে। রবিবার, জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে মাগারকাঠা গ্রামে তিন নাবালক তাদের অপর নাবালক বন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তাকে সাইকেলের চেইন দিয়ে শ্বাসরোধ করার পর, অভিযুক্তরা ১২ বছর বয়সী বন্ধুর মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করেছিল। ছাগল কাটতে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি দিয়ে তার গলা কাটার পর ওই নাবালককে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের সিওনি জেলার পুলিশ রবিবার দীপাংশু ওরফে দীপু ভরদ্বাজ (১২ বছর) হত্যার জন্য দুই ভাই সহ তিন নাবালক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এরপর তাকে জুভেনাইল আদালতে পেশ করা হয়। সিওনি জেলার বারঘাট থানার ইনচার্জ প্রসন্ন শর্মা জানিয়েছেন, তিন নাবালকের কোনও বিষয় নিয়ে তাদের বন্ধু দীপুর সঙ্গে বিবাদ ছিল। এরপর রোববার তাকে অভ্যস্ত অপরাধীর মতো নৃশংসভাবে হত্যা করে তিন জনে।
ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, ধারালো ছুরি দিয়ে দীপুকে গলা কেটে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল তিন অভিযুক্ত। তারা তাকে নির্জন স্থানে ডেকে সাইকেলের চেন দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। টিআই শর্মার মতে, দীপু কাঁদলে তার মাথায় বড় পাথর ছুড়ে মারা হয়। এরপর ছাগল জবাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি দিয়ে তার গলা কেটে ফেলা হয়। আশেপাশে বসবাসকারী এক মহিলাকে হত্যার বিষয়টি জানতে না দিতে, তিনজন তার দেহ একটি পলিথিনের ব্যাগে ভরে বাড়ির কাছে একটি স্তূপের উপর ফেলে দেয়। এর পর তিন নাবালক অভিযুক্তই পালায়। পরে ওই মহিলা রক্তমাখা পলিথিন ব্যাগ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশের সামনে বস্তা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ১২ বছরের দীপুর রক্তে ভেজা মৃতদেহ দেখে হতবাক হন গ্রামবাসীরা। এরপর সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে দীপুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একই সঙ্গে তিন অভিযুক্তকে সিওনির জুভেনাইল রিফর্ম হোমে পাঠানো হয়েছে।