Malda: গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য। তবে গৃহবধূর বাবার দাবি, মেয়েকে খুন করা হয়েছে। মেয়ের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুন করে মৃতদেহটি ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: লবঙ্গ-হলুদ এবং... শীতকালে শরীর চাঙ্গা রাখতে কিছু সহজ আয়ুর্বেদিক উপায়
ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুর ব্লকের জাজইল অঞ্চলের উত্তর আগ্রা এলাকায়। তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে মারধর করা হত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনের ধাত্রীভূমি, রেখায়-লেখায় ধরা বাঙালি শিল্পীর পেনসিলে
বছর ৬ আগে বিয়ে
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম রুম্পা হালদার ডারিয়া (২১)। তাঁর স্বামীর নাম রঞ্জিত দাড়িয়া। তিনি পেশায় শ্রমিক। তাঁদের বাড়ি ইংরেজবাজার ব্লকের পিয়াশ বাড়ি এলাকায়।
ছয় বছর আগে হবিবপুর থানার জাইজল এলাকায় বিয়ে হয়। মৃতের বাবা কৃষ্ণ হালদারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে মেয়ের ওপর অত্যাচার করত পরিবারে সদস্যরা। বিনা কারণে মেয়েকে মারধর করত। এমনকী মেয়ের পর পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে। কিন্তু এলাকার মানুষ এই বিষয়ে কোনও কিছুই দেখেনি।
আরও পড়ুন: '২৯ টাকার জিনিসটা পেলাম না!' Mio Amore অফার Viral, মিমে ছড়াছড়ি
খবর দেন এলাকার মানুষ
তাঁর আরও অভিযোগ, অথচ বিনা কারণে মেয়ের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সন্দেহ করত। এদিনও রাতে এই নিয়ে বিবাদ হয়। এরপর এলাকার মানুষরা খবর দেন সকালে। তিনি খবর পান তাঁর মেয়ের মৃতদেহ ঝুলছে ঘরে।
এরপর ঘটনার খবর পেয়ে তিনি সেখানে পৌঁছন। মরদেহ বুলবুলচণ্ডী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে তখন চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এবং ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের পর মালদা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠায়।
হবিবপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মৃত গৃহবধূর স্বামীকে পুলিশ আটক করেছে। হবিবপুর থানায় গৃহবধূর বাবা মৌখিক ভাবে সমস্ত অভিযোগ জানিয়েছেন। এবং লিখিতভাবে গৃহবধূর স্বামী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করবে বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ নিহত বধূ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে। আশপাশের মানুষের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঠিক কী হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আরও তথ্য জানতে চাইছে।