Advertisement

সম্পত্তি বিবাদ! চন্দ্রকোনায় ব্যক্তিকে বিষ খাইয়ে খুন স্ত্রী-ছেলের

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর নম্বর ব্লকের বেলাদণ্ড গ্রামের বাসিন্দা সুবোধ মণ্ডল পেশায় কৃষক ছিলেন৷ কিন্তু বিয়ের পর থেকে সাংসারিক অশান্তিতে জর্জরিত ছিলেন তিনি। সুবোধবাবুর বৃদ্ধা মা আশালতা মণ্ডলের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে প্রায় ২৭ বছর ধরে তাঁর ছেলে ও বৌমার মধ্যে অশান্তি চলেছে।

প্রতীকী ছবি
শাজাহান আলী
  • পশ্চিম মেদিনীপুর,
  • 04 Nov 2021,
  • अपडेटेड 7:23 PM IST
  • বিয়ের পর থেকেই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ
  • ছেলেকে নিয়ে স্বামীকে খুন স্ত্রীর
  • তদন্তে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে জোর করে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা টাউন থানার অন্তর্গত বেলাদণ্ড গ্রামে৷ জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই সম্পত্তি নিয়ে স্ত্রীয়ের সঙ্গে বিবাদ বেলাদণ্ড গ্রামের বাসিন্দা সুবোধ মণ্ডলের৷ স্থানীয়দের দাবি স্ত্রী নিজের নামে সম্পত্তি লিখে দিতে চাপ দিত সুবোধবাবুকে। কিন্তু তিনি তাতে রাজি না হওয়াতেই স্ত্রী ও ছেলে মিলে জোর করে বিষ ঢেলে দিয়েছে মুখে ৷ অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় তাঁর৷ ঘটনার পর থেকেই ফেরার অভিযুক্ত স্ত্রী ও ছেল৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর নম্বর ব্লকের বেলাদণ্ড গ্রামের বাসিন্দা সুবোধ মণ্ডল পেশায় কৃষক ছিলেন৷ কিন্তু বিয়ের পর থেকে সাংসারিক অশান্তিতে জর্জরিত ছিলেন তিনি। সুবোধবাবুর বৃদ্ধা মা আশালতা মণ্ডলের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে প্রায় ২৭ বছর ধরে তাঁর ছেলে ও বৌমার মধ্যে অশান্তি চলেছে। এমনকী বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই তাঁকে খেতে পর্যন্ত দিত না স্ত্রী৷ ছেলেকে নিয়ে সুবোধকে কোণঠাসা করে রাখতো৷ মা আর ছেলে মিলেই সুবোধকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে ৷ 

একই কথা শোনা গেল স্থানীয়দের মুখেও। তাঁরা জানাচ্ছেন, অশান্তির মূল কারণ ছিল সম্পত্তি। স্ত্রী ও ছেলে মিলে সুবোধ মণ্ডলকে খেতে পর্যন্ত দিত না। তিনি যখন পারতেন নিজে রান্না করে খেতেন ৷ পারিবারিক অশান্তির জেরেই স্ত্রী ও ছেলে মিলে জোর করে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে তাঁকে।  

এই বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ সুবোধ মণ্ডলকে বাড়ির মধ্যে আটকে রেখে তাঁর মুখে জোর করে বিষ ঢেলে দেয় স্ত্রী ও ছেলে। সুবোধবাবুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর ৷ এই ঘটনার পরেই চন্দ্রকোনা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকেই ফেরার অভিযুক্ত স্ত্রী ও ছেলে৷

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement