Advertisement

অশ্লীল জাল ভিডিয়ো পাত্রের ফোনে, সাঁতরাগাছিতে বিয়েই ভেঙে গেল মেয়েটার

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্রীর ভিডিয়ো, ছবি জাল করে বিয়ের দিনই কেউ বা কারা সেই ভিডিয়ো পাঠিয়ে দিয়েছিল পাত্রের ফোনে। সেই ভিডিয়ো দেখেই বেঁকে বসে পাত্রপক্ষ। রাতে বিয়ে করতে আসেনি বর। বিয়ে ভেঙে যায়।

জাল ভিডিয়োর জেরে ভেঙে গেল বিয়ে। হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে (প্রতীকি ছবি)
সুমন আদক
  • হাওড়া,
  • 24 Feb 2021,
  • अपडेटेड 8:45 PM IST
  • পাত্রীর অশ্লীল জাল ভিডিয়ো পাত্রের ফোনে
  • বিয়ে করতে অস্বীকার পাত্রের
  • হাওড়ার সাঁতরাগাছির ঘটনা। জগাছা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে

পাত্রীর অশ্লীল জাল ভিডিয়ো পাত্রের ফোনে। বিয়ে করতে অস্বীকার পাত্রের। হাওড়া (Howrah)-র সাঁতরাগাছি (Santragachi)-র ঘটনা। জগাছা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্রীর ভিডিয়ো, ছবি জাল করে বিয়ের দিনই কেউ বা কারা সেই ভিডিয়ো পাঠিয়ে দিয়েছিল পাত্রের ফোনে। সেই ভিডিয়ো দেখেই বেঁকে বসে পাত্রপক্ষ। রাতে বিয়ে করতে আসেনি বর। বিয়ে ভেঙে যায়।

হাওড়ার সাঁতরাগাছি এলাকায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার এক পরিবারে মঙ্গলবার ছিল ওই বিয়ের অনুষ্ঠান। অভিযোগ, ওই দিন সকালেই পাত্রীর ছবি সুপার ইম্পোজ করে সেই অশ্লীল ভিডিয়ো কেউ বা কারা পাঠিয়ে দেয় পাত্রের ফোনে।

এদিকে, বিয়ের সব প্রস্তুতি সারা হলেও সন্ধেয় মেয়ের বাড়ির লোকজন অপেক্ষা করলেও বিয়ে করতে আসেনি বর। আলোকসজ্জায় সাজানো বিয়ের অনুষ্ঠানে যেন মুহুর্তেই নেমে আসে অন্ধকার। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় থানায় মেয়ের বাড়ির তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই ফেক ভিডিয়ো কে বা কারা বানালো এবং তা পাত্রপক্ষের কাছে পৌঁছে গেল, তার উপযুক্ত তদন্তের দাবি করেছে পাত্রীপক্ষ।

সেই ফেক ভিডিয়ো যে সুপার ইম্পোজ করে বানানো হয়েছে তা পাত্রপক্ষকে জানানো হয়। তা সত্বেও কেন বর বিয়ে করতে এলেন না, তা নিয়ে পাত্রের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানানো হয়েছে থানায়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

পাত্রীর এক দাদা বলেন, পাত্রের মোবাইলে একটি অচেনা নম্বর থেকে এডিট করা অশ্লীল ফেক ভিডিয়ো আসে। সেই ভিডিয়ো দেখার পর পাত্র নিজেই পাত্রীর বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে দেয় তিনি এই বিয়েতে নারাজ। আমরা এরপর জগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।

তিনি আরও জানান, এছাড়া সাঁতরাগাছি (Santragachi) থানাতেও একটি অভিযোগ দায়ের করব। পুলিশ তদন্ত করলেই ঘটনার প্রকৃত সত্য প্রকাশ হবে। এটি ছিল একটি এডিট করা ফেক অশ্লীল ভিডিয়ো। আমরা পাত্রপক্ষকে বলা সত্বেও ওরা মানতে চায়নি।

Advertisement

তাঁর দাবি, আসলে এটা বিয়ে না করার একটা বাহানা। আমরা চাই পুলিশ ঘটনার সঠিক তদন্ত করুক। যে বা যারা এই অশ্লীল ভিডিয়ো বানিয়েছে, তাদের পুলিশ খুঁজে বের করুক। আমাদের দাবি, বিয়ের অনুষ্ঠান করতে যে টাকা খরচ হয়েছে তা আমাদের দেওয়া হোক। পাত্রের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও আমরা জানিয়েছি।

তিনি জানান, তিন মাস আগে বিয়ের এনগেজমেন্ট হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। আর সেদিনই ঘটে এই কান্ড। এদিকে, পাত্রীর বাবা জানান, বিয়ের সব আয়োজন সারা হয়েছিল। এখন  ভেঙে যাওয়ায় ক্ষতি হয়ে গেল। শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, এই বিয়ের সঙ্গে আমাদের পরিবারের মানসম্মান জড়িয়ে ছিল।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement