কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ছবি সহ টি-শার্ট বিক্রির অভিযোগে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম মেশো সমালোচনার মুখে পড়েছে। এই বিতর্কের জেরে অবশেষে মেশো তাদের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ থেকে টি-শার্টটি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পর মেশো এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানায় যে, তারা অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই পণ্যটি সরিয়ে নিয়েছে। মেশোর মুখপাত্র আরও জানান যে, "আমরা আমাদের গ্রাহকদের জন্য একটি নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ
সোশ্যাল মিডিয়ায় চলচ্চিত্র প্রযোজক আলিশান জাফরি এ বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি টুইটে বলেন, "এ ধরনের টি-শার্ট তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভুল বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারে এবং অপরাধীদের প্রতি সহানুভূতি বাড়াতে পারে।" জাফরি এটিকে "ভারতের অনলাইন উগ্রবাদের একটি উদাহরণ" হিসেবে উল্লেখ করেন।
এদিকে, সামাজিক মাধ্যমে দাবি উঠেছে যে, মেশোতে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ছবি সংবলিত টি-শার্ট ১৫০ টাকা থেকে ২২০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছিল, যা নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
লরেন্স বিষ্ণোই: একজন কুখ্যাত গ্যাংস্টার
লরেন্স বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে বহু ফৌজদারি মামলা রয়েছে এবং তার নামে চারটি ইউএপিএ মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। তার দলের সঙ্গে বিভিন্ন হাই-প্রোফাইল অপরাধের সংযোগ রয়েছে, যার মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে এনসিপি নেতা ও মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকীর হত্যার চেষ্টার দায় স্বীকার করা। এছাড়া, ২০২২ সালে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা হত্যা মামলাতেও তার গ্যাংয়ের নাম উঠে আসে। এই ঘটনায় সারাদেশে আলোচনার ঝড় ওঠে এবং বিষ্ণোইয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
মেশোর পক্ষ থেকে পণ্যটি সরিয়ে ফেলার পরও সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, অপরাধী ও গ্যাংস্টারদের গ্লোরিফিকেশন যুব সমাজে ভুল প্রভাব ফেলতে পারে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও বিষয়টি নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর আরও সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছে।