মালদার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী খুনে উঠে এল বদলার তত্ব। ওই নাবালিকার বাবার করা অপমানের বদলা নিতেই অপহরণ করে খুনের পরিকল্পনা বলে তদন্তে উঠে এসেছে। মালদা শহরের বালুচর এলাকার এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ পেয়েছে এই তথ্য। অভিযোগ, মৃত নাবালিকার বাবা অভিযুক্ত যুবককে একাধিকবার মারধোর করেছিল। তাই দীর্ঘদিন ধরেই বদলা নিতে এমন ফন্দি এঁটেছিল যুবক। তবে মেয়েটিকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল না বলেই সে জানিয়েছে। শুধু ভয় দেখানোই ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু ভুলবশত গলা কেটে যায় বলে জানা গিয়েছে।
মালদা জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব সংবাদমাধ্যমকে জানান, অভিযুক্ত প্রথমে অপহরণ করে। তারপর ছুরি দিয়ে খুন করে। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ জঙ্গলে ফেলে দেয়। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
অভিযোগ গলায় ছুরি ধরে আতঙ্কের ছবি তুলে সোশ্যাল মাধ্যমে প্রকাশ করে কিশোরীর বাবাকে ভয় দেখানোই ছিল মূল উদ্দেশ্য। সেই অভিনয় করার সময় গলায় ছুরি ধরেছিল সে। সময় ছোট মেয়েটি ছটপট করতে থাকায় কেটে যায় গলা। তারপর আতঙ্কিত হয়ে পড়ে যুবক। তারপরই নৃশংসভাবে খুন করে নাবালিকাকে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত যুবক মৃতার পরিবারের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। গত ২৯ জানুয়ারি মালদা শহরের বালুচর এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করা হয় ওই নাবালিকাকে। খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের লোকেরা না পেয়ে অবশেষে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অপহৃত নাবালিকার এক আত্মীয়কে আটক করে। সিসিটিভিতেই ধরা পড়ে ওই আত্মীয়ের বাইকে করে নাবালিকা যাচ্ছে। পুলিশি জেরায় একাধিকবার বিভ্রান্তিকর বয়ান দেয় অভিযুক্ত যুবক। পরে অবশ্য যুবকের বয়ানের ভিত্তিতে বুধবার গভীর রাতে মালদার আমবাজার থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। দেহ থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে উদ্ধার হয় ছিন্ন মাথা। ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বেসরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির এই ছাত্রী বাড়ির সামনে থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায়। তারা বাবা থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশ তদন্তে নেমে সিসিটিভ ফুটেজ খতিয়ে দেখে। বুধবার গভীর রাতে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। দেহটি মেলে বাজারের কাছের একটি ঝোপ থেকে। মাথা পাওয়া যায় সেই এলাকারই একটি বাড়ির ছাদ থেকে। ওই বাড়িটি ইংরেজবাজার থানা ও পুলিশ লাইনের অদূরেই।