Advertisement

সদ্যোজাতের গলায় মা ঢুকিয়ে দিলেন টয়লেট পেপারের রোল, তারপর...

সন্তান চাননি। কিন্তু কড়া আইনে গর্ভপাতও করাতে পারেননি। তাই শেষমেষ প্রসবের পর গলায় টয়লেট পেপার ঢুকিয়ে খুন করলেন নিজের সন্তানকে। হতবাক গোটা বিশ্ব।

চমকপ্রদ ও অভাবনীয় ঘটনায় আচম্বিত বিশ্ব
Aajtak Bangla
  • টোকিও,
  • 16 Sep 2021,
  • अपडेटेड 2:23 PM IST
  • অবাঞ্ছিত প্রসব বাচ্চাকে খুন করলেন মা
  • গলায় টয়লেট পেপার ঢুকিয়ে খুন
  • দু বছর পর স্বীকার করলেন খুনের কথা

২৩ বছরের কয়ুরি কিতাই চাকরির ইন্টারভিউর জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে টোকিও যাচ্ছিলেন। কিন্তু ইন্টারভিউ-এর জায়গায় পৌছনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার লেবার পেন শুরু হয়ে যায়। যার পরে ওই যুবতী এয়ারপোর্টের বাথরুমে চলে যান। যেখানে তিনি বাচ্চা প্রসব করেন। তারপর যা কাণ্ড ঘটালেন তিনি তা দেখে অবাক বিশ্ব।

ঘটনায় হতচকিত বিশ্ব

জাপানের টোকিও-এর এই ঘটনা। চমকপ্রদ এবং অভাবনীয় ঘটনা ঘটিয়েছে ওই যুবতী। যেখানে যুবতী বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পরই বাচ্চাটিকে টয়লেট পেপার মুখে ঢুকিয়ে খুন করে ফেলেন। ঘটনাটি দু'বছরের পুরনো হলেও এতদিন পর ওই যুবতী নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে। তারপরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু এর পেছনে কি ঘটনা রয়েছে তা তিনি জানিয়েছেন আসুন জেনে নিই

কিতাই বাচ্চাটি চায়নি

ডেইলি স্টার প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯ এর ২৩ বছর বয়সী কয়ুরি কিতাই চাকরির ইন্টারভিউর জন্য নিজের বাড়ি থেকে টোকিও যাচ্ছিলেন। কিন্তু টোকিওতে নামার পরে তার প্রসব বেদনা শুরু হয়। বিমানবন্দরের টয়লেটে গিয়ে তিনি তড়িঘড়ি প্রসব করেন। সেখানে তার একটি সম্পূর্ণ সুস্থ বাচ্চা জন্ম হয়। কিন্তু কিতাই সেই বাচ্চাটি চাইছিল না।

পূর্ব জীবনের সংস্পর্শ এড়তে চাইছিল

সে এবরশনের চেষ্টাও করে কিন্তু তাতে সফল হয়নি। জাপানি আইনে কড়াকড়ি থাকায় তার আইনি গেরােতে পড়ার ভয়ে সে গর্ভপাতের চিন্তা থেকে দূরে সরে আসে। টোকিও ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে জানান, প্রেগনেন্সি অবাঞ্ছিত ছিল। আর বাচ্চাটিকে মেরে ফেলাই একমাত্র বিকল্প ছিল তার কাছে। সে চাকরি নিতে যাচ্ছিল এবং সেখানে তার পূর্বজীবনের কোনও রকম ছায়া প্রকাশ্য আসুক, তা চাইছিল না। সে কারণেই বাচ্চাটি কে খুন করেছে।

আগে থেকে জানা ছিল না

এয়ারপোর্টের বাথরুমে গিয়ে তাই নিজের বাচ্চাকে খুন করে বাচ্চার মুখে টয়লেট পেপার ঢুকিয়ে তাকে মেরে দেয়। ২০১৯ এর ঘটনা নিয়ে শুনানি শুরু হয়েছে। কিতাই জানান, অবাঞ্ছিত প্রেগনেন্সি থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য সেই কাজ করেছে। কোর্টে কিতাই-এর বক্তব্য প্রেগনেন্সির আগে থেকে বিষয়টি জানা ছিল না। যখন তার নজরে আসে বিষয়টি, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। কারণ জাপানে ২২ সপ্তাহের পরে এবরশন করানো যায় না। তা বেআইনি এ কারণেই বাচ্চাটিকে রাখতে হয়।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement