নদিয়ায় অজ্ঞাত দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত বিজেপি কর্মী। মৃতের নাম হাফিজুল শেখ। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে হাফিজুল শেখকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
তাঁর মাথায় গুলি লাগে। নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের দাবি, বিজেপি করায়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাঁকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত এবং নিহত, উভয়েরই এর আগের অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। মূল অভিযুক্ত শনাক্ত হলেও তাকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভোট শুরুর আগেই পুকুরে EVM! ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে উত্তপ্ত কুলতলি
কিছুদিন আগে খুন হয়েছিলেন এক তৃণমূল কর্মী
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে ষষ্ঠ দফার ভোটের ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে, পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে এক TMC কর্মী খুন হয়েছিলেন। আরও একজন তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হয়েছিলেন। ভোটের আগে রাজনৈতিক বিবাদ থেকেই এসকে মইবুল নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। মৃত ব্যক্তি TMYC-র সহ-সভাপতি ছিলেন। তৃণমূলের অভিযোগ, ঘটনার রাতে মইবুল বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বিজেপি কর্মীরা তাঁর পথ আটকায়। তারপর তাঁকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। ঘটনার প্রেক্ষিতে মহিষাদল থানা পুলিশ ৫ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে।
২২ মে নন্দীগ্রামে খুন হন বিজেপি কর্মী
এর আগে নন্দীগ্রামে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এবং তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে এক মহিলা বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। এই সংঘর্ষে বিজেপির ৭ জন কর্মী আহত হন। ২২ মে গভীর রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচুড়ায় এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক বিবাদকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীরা পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পাল্টা অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। সংঘর্ষে নিহত মহিলা বিজেপি কর্মীর নাম রথিবালা আদি।