এক হোটেল কাম বারে ভাঙুচর চালানোর অভিযোগ উঠল। করা হয়েছে লুঠপাটও। মারধর করা হয়েছে সেখানকার কর্মীদের। এই ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রবিবার উত্তর ২৪ পরগণা জেলার নৈহাটির ঘটনা। আহত হয়েছেন একজন।
রাজেন্দ্রপুরর ঘটনা
নৈহাটির রাজেন্দ্রপুর এক হোটেল (বার অ্য়ান্ড রেঁস্তোরা)-এ দুষ্কৃতীরা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পাশপাশি মদের দোকান থেকে মদ এবং টাকা লুট করে নেওয় হয়েছে বলেও অভিযোগ। আরও অভিযোগ, মারধর করা হয় ওই হোটেলের কয়েকজন কর্মীকেও।
আহত
ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। তাঁকে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার বিকালের দিকে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রাজেন্দ্রপুর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নৈহাটি থানার পুলিশ।
চুরমার
দোকান একেহবারে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বললে ভুল বলা হবে না। দেখা যায়, কাচের টুকরোয় ভরে গিয়েছে দোকানের চারপাশ। দোকানের বিভিন্ন অংশ চুরমার করে দেওয়া হয়েছে। কত ক্ষতি হয়েছে, তার হিসেব করা হচ্ছে।
একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
৫ থেকে ৭ জন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ওই হোটেলে চড়াও হয়। হোটেলের পাশে থাকবে একটি মোটর বাইকেও ভাঙচুর চালানো হয়। তদন্ত করছে নৈহাটি থানার পুলিশ।
আতঙ্ক
যদিও এই ঘটনায় কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। কিন্তু এরকম একটি জনবহুল এলাকায় যেখানে সব সময় মানুষের চলাফেরা, সেই জায়গায় দিনে-দুপুরে এরকম দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্কিত এলাকার মানুষ।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
বার কাম হোটেলের ম্যানেজার প্রশান্ত কুন্ডু, জানান প্রতিদিনের মত আজকেও আমাদের হোটেল, বার খোলা ছিল। সিসি টিভিতে দেখতে পাই মুখ বাঁধা অবস্থায় ১০ থেকে ১২ জন লোক হাতে আসে।
তাঁর দাবি, তিনি দেখেন তারা অস্ত্র-দা-ইঁট দিয়ে ভিতরে ঢুকেছে। ওরা এসে আমার দোকানের কর্মীদের মারধর করেছে। অনেক কিছু ভাঙচুর করেছে। দোকান থেকে মদ লুঠ করেছে।
মুখোশধারী
ওই বার কাম হোটেলের ম্যানেজার প্রশান্ত কুন্ডু আরও জানান, তাঁদের দোকানের একজন কর্মী আহত হয়েছেন। তিনি নৈহাটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুষ্কৃতীরা সবাই মুখ ঢাকা অবস্থায় ছিল। আর তাই তাদের চেনা সম্ভব হয়নি।