ফি-দিনই পড়শির ছাগল ঢুকে পড়ে বাড়িতে। খেতের শাকসবজি যেমন খায়, বাড়ির উঠোনে শুকোতে দেওয়া ধান-গমও সাবাড় করে দেয়। এমনকী জামা-কাপড়ও চিবিয়ে যেতে ছাড়ে না। এহেন অবলা ছাগলের বিরুদ্ধে রাগ করে কেবল অভিযোগ জানাতে ছাগলের মালিকের কাছে গিয়েছিলেন ৭৩ বছরের বৃদ্ধা। অভিযোগ নিয়ে তর্কাতর্কি বেধে যায়। যার জের গড়ায় শারীরিক নিগ্রহে। শেষমেষ এই বচসা থামে বৃদ্ধার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।
শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার সুরুন গ্রামে। বৃদ্ধাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর ছেলে ও পূত্রবধূ। যদিও ঘটনার পরই ইটাহার থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে মূল অভিযুক্তকে। জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধার নাম মোমেনা বেগম। জখম আবেদা সুলতানা ও ইশাক আলি।
পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আক্তার বলেন,“খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাকি অভিযুক্তরা পলাতক।”রবিবার দুপুরে ধৃতকে রায়গঞ্জ মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।
জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী নুরজাহানের ছাগল প্রতিদিন মোমেনা বেগমের বাড়ির শাকসবজি সহ বাড়ির উঠোনে শুকোতে দেওয়ার জন্য ধান গম চাল খেয়ে নেয়। সেই নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। গতকাল সেই ছাগল মোমেনার জমিতে সবজি খেয়ে নেয়। এই অভিযোগ জানাতে মোমেনা বেগম গিয়েছিলেন ছাগলের মালিকের বাড়িতে। মুখ থেকে এই অভিযোগ শোনার পরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন মালিক। ক্ষিপ্ত হয়ে বৃদ্ধার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। সেই সময় প্রতিবেশী আঁকালু শেখ, নুরজাহান বেগম সহ ১২ জন অতর্কিত হামলা চালায় বৃদ্ধার ওপর। শাশুড়িকে মারতে দেখে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বৌমা আবেদা সুলতানা। তাকেও বেধড়ক মারধর করে পরনের কাপড় ছিড়ে দেয় বলে অভিযোগ। পেশায় স্কুল শিক্ষক ইশাক আলি মা ও স্ত্রীকে বাঁচাতে গেলে তাঁর মাথাতেও ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে অভিযুক্তরা।