Footballer's Hanging Body Found Wearing Jersey And Boot: গায়ে ইস্টবেঙ্গলের লাল-হলুদ জাার্সি, পায়ে ফুটবল বুট। বাড়ির কাছেই আমবাগানের গাছে ঝুলছে ফুটবলারের মৃতদেহ। উত্তর চব্বিশ পরগণার অশোকনগরের কল্যাণগড় পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাকপুল কল্পতর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এলাকায় পরিচিত ফুটবলারের এমনভাবে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা হতভম্ব। সেই সঙ্গে এলাকায় শোকের ছায়া। যেহেতু ফুটবলের পোশাক ও জুতো পরে থাকা অবস্থায় দেহ মিলেছে, তাতে বড় ফুটবলার হতে না পারার ব্যর্থতায় আত্মঘাতী হয়েছেন কি না তা নয়ে জল্পনা দানা বেঁধেছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ধোনিকে যে কথা বলে শিরোনামে এসেছিলেন মুশারফ, বলেছিলেন 'যাই হয়ে যাক......'
ফুটবলার হতে না পারা কুরে কুরে খেত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম প্রদীপ বড়ুয়া। বয়স মাত্র ২৯ বছর। জৈবিক হিসেবে কিছুই বয়স নয়। তবে ফুটবলার হওয়ার পক্ষে তাঁকে বিগতযৌবন বলা চলে। ৩০ বছরের পর নতুন করে আর প্রতিষ্ঠিত ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখা যায় না, এটা সত্যি। প্রদীপের ঝুলন্ত মৃতদেহ মেলার কারণ খুঁজছে সবাইষ ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ক্রমশ ফিকে হচ্ছে বুঝেই কি তিনি নিজে আত্মঘাতী হলেন? পুলিসের প্রাথমিক অনুমান অবশ্য সেটাই। অশোকনগর থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
খেলেছেন ইস্টবেঙ্গল জুনিয়র ও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডেও
এক সময় ইস্টবেঙ্গল জুনিয়রে বেশ সুনামের সঙ্গে ফুটবল খেলেছেন প্রদীপ বড়ুয়া। এলাকাতেও ফুটবলার প্রদীপ হিসেবে এক ডাকে সবাই চিনত। এমনকী ইংল্যান্ডে গিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেও খেলে এসেছেন তিনি। স্বপ্ন ছিল প্রিয় দল ইস্টবেঙ্গলে খেলার। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার। তবে পরবর্তীতে সেভাবে তার প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। বড় ফুটবলার না হওয়ার একটা আক্ষেপ ছিল তার মধ্যে। বয়স বাড়ছিল। পাশাপাশি ব্যবসা নিয়েও হতাশা ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার জেরেই এই আত্মহত্যার ঘটনা কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ IPL-এ বড় চমক, ঘরে বসেই ঠিক করতে পারবেন মাঠের কোন এন্ড থেকে খেলা দেখবেন
মৃত্যুর আগে কী বলেছিলেন প্রদীপ?
মৃতের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত পৌনে ৭টা নাগাদ হঠাৎ বোনকে ফোন করে প্রদীপ। ফোন লাউড স্পিকারে দিতে বলে বোনকে বলেন মাকে ডাকতে। মাকে উদ্দেশ্য করে, বোন, ভাই বাবাকে দেখে রাখতে বলেন। সেই সঙ্গে তাঁর মৃত্যু হলে কাউকে দায়ী করতে না করেন। এরপরে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রদীপ বলে পরিবার জানিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন সঙ্গে সঙ্গেই খোঁজাখুঁজি শুরু করে এবং অশোকনগর থানায় একটি মিসিং ডায়েরিও করেন। কিন্তু নিজেরা অত তাড়াতাড়ি খুঁজে পাননি। প্রায় ৪ ঘন্টা পরে বাড়ির কাছেই জঙ্গলে একটি আম গাছের সঙ্গে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।