কাউকে ২০ টাকা দেওয়ার টোপ, কাউকে চকোলেটের লোভ, এই ভাবে দিনের পর দিন শিশু কন্যা ও বালকদের দিনের পর যৌন হেনস্থা করার গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক প্রৌঢ়়কে। ঘটনাটি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার। অভিযোগ, নাবালিকা ও নাবালকদের নানা লোভ দেখিয়ে যৌন অত্যাচার করত ওই ব্যক্তি। ধৃত ব্যক্তির নাম হরেন্দ্রনাথ হালদার।
একের পর এক অভিযোগ দায়ের
অভিযোগ, এলাকার ছোট ছেলেমেয়েদের ২০ টাকা, লজেন্স ইত্যাদির লোভ দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে যেত হরেন্দ্র। তারপর তাদের নগ্ন করে যৌন হেনস্থা করত। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক নাবালিকার পরিবার। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, একজন নয়, একাধিক নাবালক ও নাবালিকার সঙ্গে এই কীর্তি করেছে হরেন্দ্র। গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর আজ অর্থাত্ বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আরেক নাবালিকার পরিবার। ওই ব্যক্তির কড়া শাস্তির দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম বিক্ষোভ দেখান।
টাকা, লজেন্সের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যেত
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, শিশুদের টাকা, খাবারের লোভ দেখিয়ে প্রায়ই হরেন্দ্র তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যেত। এত দিন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি। এক নাবালিকা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় সে মা-বাবাকে বলে। এরপরেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় যায় পরিবার। যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তির দাবি, তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ জমা পড়েছে।
'আমাকে বলল বিস্কুট দেবে'
এক নাবালিকার কথায়, 'আমাকে বলল বিস্কুট দেব, টাকা দেব, বাড়ি নিয়ে গেল। তারপর বুড়ো বলল, তোর প্যান্ট জামা খোল। ওর বউ তখন ঘুমচ্ছিল।'