উৎসব অনুষ্ঠান মানেই নজরকাড়া ও আকর্ষণীয় অফার দিয়ে থাকে অনলাইন বিক্রির (Online Shopping) প্ল্যাটফর্মগুলি। কিন্তু যাঁরা অনলাইনে কেনাকাটা করেন তাঁদের জন্য এই খবরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিল্লির বসন্ত বিহার এলাকায়। জানা গিয়েছে সরোজ কুমার যাদব নামে এক ব্যক্তি ওই এলাকার একটি বাড়িতে থাকেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে ফ্লিপকার্ট (Flipkart) থেকে তিনি আলাদা করে ২টি জিনিস কেনেন। কিন্তু কোনওটিই তাঁর পছন্দ হয়নি। এরফলে তা এক্সচেঞ্জ করার জন্য রিকোয়েস্ট পাঠান তিনি।
এরপর এক ডেলিভারি বয় সরোজ কুমার যাদবের কাছে যায় এবং তাঁর থেকে একটি জিনিস ফেরত চায়। একইসঙ্গে সে বলে, টাকা গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফেরৎ চলে যাবে। সেই কথা শুনে সরোজবাবু প্রশ্ন করেন, কোম্পানির কাছে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যই নেই, তাহলে টাকা ফেরৎ আসবে কীভাবে? সেই প্রশ্নের উত্তের ডেলিভারি বয় বলে, যদি টাকা ফেরৎ না আসে তাহলে সরোজবাবু যেন তাকে ফোন করে নেন। এরপর সেখান থেকে একটি অর্ডার নিয়ে চলে যায় ডেলিভারি বয়।
এর কিছুদিন পর আরও এক ডেলিভারি বয় তাঁর বাড়িতে যায় এক্সচেঞ্জের জন্য। তখন সরোজবাবু জানতে চান, তাঁর আগের টাকাই এখনও অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি, তার জন্য কী করতে হবে? তখন দ্বিতীয় ডেলিভারি বয় ফোনে প্রথম ডেলিভারি বয়ের সঙ্গে সরোজবাবুর কথা বলিয়ে দেয়। প্রথম ডেলিভারি বয় তাঁকে একটি ফোন নম্বর দিয়ে বলেন, সেখানে ফোন করে সমস্যার কথা জানাতে, তাহলেই তিনি টাকা পেয়ে যাবেন।
এরপর সেই নম্বরে ফোন করেন সরোজ কুমার যাদব। সেই নম্বরে ফোন রিসিভ করার পর তাঁকে আরও একটি নম্বর দেওয়া হয় এবং বলা হয় সেটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নম্বর। সেখানে ফোন করলেই মিলবে টাকা। সেইমতো ওই নম্বরেও ফোন করেন তিনি। তখন যে ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে সে নিজেকে ফ্লিপকার্টের কর্মী বলে পরিচয় দেয় এবং সরোজবাবুকে এনিডেস্ক অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে বলে। এরপর সরোজবাবুকে ক্যামেরার সামনে তাঁর ডেবিট কার্ডটি রাখতে বলা হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই সরোজবাবুর অ্যাকাউন্ট থেকে ২ দফায় উধাও হয়ে যায় মোট ৫০ হাজার টাকা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন সরোজ কুমার যাদব। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।