Advertisement

Paschim Medinipur Daspur Murder Case : গা ভর্তি গয়না হাতাতেই দাসপুরে মহিলা খুন, গ্রেফতার ৩ ফেরিওয়ালা

Paschim Medinipur Daspur Murder Case : পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur)-এর দাসপুর (Daspur)-এর কলোড়া গ্রামে ৯ মার্চ বুধবার সকালে নদীতে গলাকাটা মহিলার দেহ উদ্ধার কাণ্ডের কিনারা হল তিনদিনের মধ্যে। মহিলার পরিচয় উর্মিলা দাস (৫৫)।

দাসপুরে মহিলা খুনে গ্রেফতার ৩ (প্রতীকী ছবি)দাসপুরে মহিলা খুনে গ্রেফতার ৩ (প্রতীকী ছবি)
শাজাহান আলী
  • দাসপুর,
  • 13 Mar 2022,
  • अपडेटेड 10:42 AM IST
  • গা ভর্তি গয়না পরে থাকতেন সবসময়
  • সেই গয়না হাতাতেই তিন ফেরিওয়ালা বৃদ্ধার গলা কেটে নদীতে ফেলে দিয়েছিল
  • পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর খুন কাণ্ডে গ্রেফতার তিন ফেরিওয়ালা

Paschim Medinipur Daspur Murder Case : গা ভর্তি গয়না পরে থাকতেন সবসময়। সেই গয়না হাতাতেই তিন ফেরিওয়ালা বৃদ্ধার গলা কেটে নদীতে ফেলে দিয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur)-এর দাসপুর (Daspur)-এ মহিলা খুন কাণ্ডে গ্রেফতার তিন ফেরিওয়ালা। ওই মহিলার নাতনির জন্য পাত্র দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল তারা।

উদ্ধার হয়েছিল মহিলার দেহ
পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur)-এর দাসপুর (Daspur)-এর কলোড়া গ্রামে ৯ মার্চ বুধবার সকালে নদীতে গলাকাটা মহিলার দেহ উদ্ধার কাণ্ডের কিনারা হল তিনদিনের মধ্যে। মহিলার পরিচয় উর্মিলা দাস (৫৫)। ঘটনাস্থল থেকে ১০ কিমি দুরে নবীনমানুয়া এলাকার বাসিন্দ। 

আরও পড়ুন

পরিচয় উদ্ধার হতেই সুত্র বের করে পুলিশের স্পেশাল অপারেশন। শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ধরে ফেলল তিন দুষ্কৃতীকে। তাদের কাছ থেকে খুনের সময়ে ব্যবহার করা অস্ত্র, গয়নাও পাওয়া গিয়েছে। 

পুলিশ সুপার জানান
পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানালেন, খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃতেরা। ধৃতেরা কেশপুরের বাসিন্দা। পাঁউরুটি ফেরি করতে দাসপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত তারা। ওই মহিলার পাড়ায় ব্যবসার সুবাদে পরিচিত হয়ে গিয়েছিল তারা। বৃদ্ধা উর্মিলা দেবীর নাতনির জন্য বিয়ের পাত্র দেখানোর নাম করে ওই পাঁউরুটি বিক্রেতারা বৃদ্ধাকে ৮ মার্চ বিকেলে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল। তার পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না মহিলাকে ৷

গত ৯ মার্চ সকালে দাসপুরের কলোড়া গ্রামের পাশে কংসাবতী নদীতে বস্তার মধ্যে একটি মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। মহিলার গলা কেটে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দিয়ে তার ওপরে পাথর চাপা দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয়রা দেখে তা পুলিশে জানাতে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে তদন্তে নেমেছিল। 

ঘটনার দুদিন পরে ১১ মার্চ মহিলার পরিচয় জানতে পেরেছিল পুলিশ। দেহ উদ্ধারের স্থান থেকে প্রায় দশ কিমি দুরে মবীনমানুয়া এলাকার বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন দাস দাবি করেছিলেন, ওই মহিলা তাঁর স্ত্রী। নিখোঁজ ছিল তিন দিন ধরে। তাঁর নাম উর্মিলা দাস। 

Advertisement

মহিলার দুই মেয়ে বিবাহিত, এক ছেলে অন্য রাজ্যে সোনার কাজ করেন। মহিলা সোনার গয়না পরতে ভালোবাসতেন। সবসময় অনেক গয়না পরে থাকতেন। মবীনমানুয়া গ্রামে পাঁউরুটি ফেরি করত কয়েকজন ফেরিওয়ালা। যারা সকলেই কেশপুরের বাসিন্দা। 

ফেরিওয়ালাদের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন
তার মধ্যে এক ফেরিওয়ালা শামিম আহমেদের সঙ্গে বৃদ্ধা উর্মিলা দেবীর ভাল পরিচয় ছিল। প্রায় ফেরি করতে গিয়ে গল্প হত শামিমের বৃদ্ধা উর্মিলা দেবীর। উর্মিলা দেবীর নাতনীর জন্য ভাল পাত্র রয়েছে বলে শামিম জানিয়েছিল বৃদ্ধাকে। সেই মতো গত ৮ মার্চ বিকেলে উর্মিলা দেবী পরিচিত শামিম এর বৃদ্ধা ছেলে দেখতে বেরিয়ে আর ফেরেননি। পরদিন তাঁর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে নদীতে।

পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, ওই মহিলা সোনার গয়না পরে থাকতেন ৷ যে কারণে তাঁর গয়না হাতাতে পরিকল্পিত ভাবে মহিলাকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল ওই ফেরিওয়ালারা৷ পরে খুন করে গয়না লোপাট  করেছিল৷ খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বৃদ্ধার সোনার গয়না ও খুনের অস্ত্র উদ্ধার হয়েছ। ধৃতদের তোলা হয়েছে ঘাটাল মহকুমা আদালতে। এই ঘটনায় পুলিশ ভাল কাজ করেছে৷ তদন্তে থাকা পুলিশ কর্মীদের পুরষ্কৃত করা হবে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement