বিহারের পাটনায় এক বৃহন্নলার সন্দেহজনক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষ করেছে পুলিশ। তবে তদন্ত নেমে হতবাক পুলিশ নিজেই। ২০ ডিসেম্বর পাটনার আলমগঞ্জের বৃহন্নলা উষা রানীর সন্দেহজনক মৃত্যু হয়। সেই মামলার তদন্ত শুরু করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পায় পুলিশ। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্তে নেমে মূল অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কী জানিয়েছে পুলিশ
পুলিশ জানিয়েছে, সুপলের বাসিন্দা নবীন কুমার ওরফে আশুতোষের সঙ্গে বৃহন্নলা ঊষা রানীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। দুজনে একসঙ্গেই থাকত সেখানে। উষা রানী নবীন কুমারের প্রেমে পাগল ছিলেন। নবীন কুমারের সঙ্গে গত ২০ ডিসেম্বর উষা রানী শারীরিক সম্পর্ক করেন। এর পরে নবীন ঊষাকে ড্রাগ দেয়। সেটা সেবন করার পরেই ঊষা রানীর মৃত্যু হয়। তদন্তকারীদের দাবি, এর পরেই নবীন ঊষার গয়না ও টাকায় হাত হাতিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয়।
ধৃত মূল অভিযুক্ত
দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ অভিযুক্ত নবীন কুমারকে ভিস্কোমান কলোনি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, নবীন অপরাধী প্রকৃতির ছিল। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, দুটি কার্তুজ ও দুটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া তার কাছ থেকে ৮২ গ্রাম মাদক পাওয়া গেছে।
অপরাধ স্বীকার অভিযুক্তের
অভিযুক্ত নবীন পুলিশের সামনে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে। নবীন জানিয়েছ, উষা রানীর সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ঊষা রানীর সঙ্গে লিভ-ইনে থাকছিল সে। নবীন জানায়, এর আগেও অনেক বৃহন্নলার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে তাদের সঙ্গে বসে মাদক সেবন করত সে। নবীনের জানিয়েছে, এর আগে রিঙ্কি বৃহন্নলা সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। পরে ঊষা রানীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান।
কেন খুন?
নবীন স্বীকার করে জানিয়েছে কিন্নর ঊষা রানী বেশ স্বচ্ছল ছিলেন। তার কাছে আরও টাকা ছিল। যার কারণে তিনি উষা রানীকে নিজের ফাঁদে ফেলে। এরপর সে ধীরে ধীরে উষা রানীর নগদ টাকা ও গহনা ছিনতাই করার জন্য তার বিশ্বাস অর্জন করে এবং সুযোগ বুঝে তাকে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এবং অভিযুক্ত ধরা পড়ার পর স্থানীয় বৃহন্নলা সমাজ পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। অন্যদিকে অতিরিক্ত পুলিশ অফিসার কৃষ্ণ কুমার জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। বিশেষ করে মাদক চোরাচালান মাফিয়াদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে।