ওসি হোমিসাইড, টালার লেডি অফিসার, ফরেন্সিক অফিসার, ভিডিওগ্রাফার, চিকিৎসক, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্ট... তদন্তের সঙ্গে জড়িতরাই ছিল কর্ডন(ঘেরা স্থানে) করা স্থানে। ভাইরাল ভিডিও-র স্ক্রিনশট দেখিয়ে ব্যাখ্যা করলেন ডিসি সেন্ট্রাল। সম্প্রতি আরজি করের ঘটনার দিন কর্ডনের ভিতরে প্রবেশ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা দাবি ওঠে। কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, কর্ডন করা স্থানের মধ্যে ও বাইরে এতজন আছেন কেন? এতে তথ্য লোপাটের আশঙ্কা করেন তাঁরা।
এরই মধ্যে লালবাজারে এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন ডিসি সেন্ট্রাল। তিনি বলেন, 'কর্ডনের ভিতরে যে কেউ ঢুকতে পারবে না। থানার যাঁরা অফিসার আছেন, তাঁরা বছরের পর বছর বিভিন্ন কেস দেখেন। ফলে কোনওভাবেই প্রমাণ লোপাটের কোনও আশঙ্কা নেই।'
এই সময়েই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, ৪০ ফুটের ঘেরা স্থানের বাইরেও তো নানা প্রমাণ থাকতে পারে... সেক্ষেত্রে ঘেরা স্থানের বাইরেও এত ভিড় কেন? এর উত্তরে পুলিশ আধিকারিক জানান, '৪০ ফুটের বাইরেও প্রমাণ থাকতে পারে। আমরা আরজি করের সম্পূর্ণ চত্ত্বরে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছি। সমস্ত তথ্যই আমরা সিবিআইকে হস্তান্তর করেছি।'
তিনি জানান, 'প্রকাশিত ছবি বিকেল ৪.৪০ নাগাদ তোলা হয়। তদন্তের সঙ্গে যুক্তরা বিভিন্ন সময়ে ঘটনাস্থলে যান।'
প্রথমে কেন সুইসাইড বা আনন্যাচারাল ডেথ বলা হয়েছিল? এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, 'আপনারা জানেন, আমাদের পুলিশের কিছু তদন্তের টার্ম আছে, যেমন পিও, বা প্লেস অফ অকারেন্স, তেমনই কোনও দেহ মিললে প্রথমে সেটাকে ইউডি, বা আনন্যাচারাল ডেথ বলা হয়। প্রথমেই আমরা সুইসাইড, হোমিসাইড বলি না। কোনও মৃতদেহ মিললে পুলিশি টার্মে আমরা UD বলি, আনন্যাচারাল ডেথ... বা অস্বাভাবিক মৃত্যু। যতক্ষণ না কাগজেকলমে হোমিসাইড লিখিত হচ্ছে, ততক্ষণ সেটা বলা হয় না, ততক্ষণ এটা UD বলা হয়। আমাদের তরফে, কলকাতা পুলিশের তরফে এটা আনন্যাচারাল ডেথই বলা হয়েছে। আমরা কখনও কাউকে সুইসাইড বলিনি।'
গত ৯ অগাস্ট আরজি কর থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। এরপর একাধিকবার রাজ্য প্রশাসনের তদন্তে গাফিলতির দাবি তুলেছেন চিকিৎসকরা। প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেন চিকিৎসকরা। তদন্তভার বর্তমানে সিবিআই-এর হাতে। ঘটনার পর কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। আরজি করের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়েও একের পর এক বিতর্কিত দাবি উঠছে। সন্দীপ ঘোষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল, শুক্রবারও সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্সে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছে।